মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টানা স্লোগান চালাতে দেখা যায় বিজেপিকে। অধ্যক্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কান দেননা আপ বিধায়করা।
রেখার ব্রহ্মাস্ত্র! আবগারি-কাণ্ডে বিধানসভায় CAG রিপোর্ট পেশ করতেই সাসপেন্ড ১২ AAP বিধায়ক
নির্বাচন মিটেছে। নতুন সরকারও গড়েছে। কিন্তু তাতেও নামেনি রাজনৈতিক পারদ। সপ্তাহের শুরুতেই রাজধানীর বুকে বাঁধল হইচই। নতুন সরকার গড়ার পরেই ‘আপের শেষ দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিটা পদ্ম শিবির দিয়ে দিয়েছিল। এবার সেই ‘শেষ দেখার’ পর্বই যেন শুরু হল রাজধানীর বুকে।
নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি সুর চড়িয়েছিল যে ক্ষমতায় এলে আপের একাধিক ‘কেলেঙ্কারির’ ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনবে তারা। সেই কথা মতোই কাজে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। বিধানসভায় আয়োজিত তিন দিনের বিশেষ অধিবেশনে আপের আমলে ঘটা আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে ক্য়াগ রিপোর্ট পেশ করল তারা। আর তারপরেই বাঁধল হইচই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টানা স্লোগান চালাতে দেখা যায় বিজেপিকে। অধ্যক্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কান দেননা আপ বিধায়করা। আর সেই হই হট্টগোলের মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্র বের করে বিজেপি। আপের আবগারি কেলেঙ্কারির ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত।
তারপরেই সুর একেবার সপ্তমে। দ্বিতীয় দিনেই উত্তাল হল অধিবেশন। তবে একদিকে আপের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ক্য়াগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করল বিজেপি। অন্যদিকে, আপ চলল অম্বেডকর ইস্য়ুতে। কেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর ঘর থেকে অম্বেডকরের ছবি সরিয়ে মোদীর ছবি বসানো হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলল তারা। যার মাশুলও গুনতে হল কিছুক্ষণের মধ্যেই। হইচই, উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরির দায়ে বিধানসভা থেকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড হলেন আপের ১২ বিধায়ক। সাসপেন্ড হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশি মারলেনাও। মুলতুবি অধিবেশন।
তবে সাসপেন্ড হওয়ার পরে কিন্তু থেমে থাকেনি সেই ১২ আপ বিধায়ক। বিধানসভার অন্দর থেকে বেরিয়ে ওই চত্বরেই হাতে বাবা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখায় তারা। পদ্ম শিবিরের দিকে তোপ দেগে অতিশি আবার বলেন, ‘মোদী কি বাবা অম্বেডকরের থেকেও বড়? উনি তো মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের ঘরে অম্বেডকরের ছবি সরিয়ে দিয়ে নিজের ছবি বসিয়ে দিয়েছেন।’
অবশ্য, আপের এই অম্বেডকর ইস্য়ুর পাল্টা ক্যাগ রিপোর্টকে রেখেছে বিজেপি। এদিন প্রবেশ ভর্মা বলেন, ‘সময় ঘনিয়ে এসেছে। যে ক্য়াগ রিপোর্টের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করছিলাম তা এবার সামনে আসছে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours