সেই আলোচনার শেষ দিনেই মিটে গেল নির্বাচন পর্ব। রাজ্য সম্মেলন থেকেই বাছাই করা হল রাজ্য সম্পাদকের মুখ। পাশাপাশি, গঠন হয়েছে ৮০ জন সদস্যের রাজ্য কমিটি। তাতে রয়েছেন অনেকেই, তবে বাদ পড়েছেন কেউ কেউ।
বাদ পড়লেন সুশান্ত-বিকাশরা, সিপিএম-এর ভরসা এখন সেলিমেই
সিপিএমের অন্দরে এখন বদলের হাওয়া। দল আছে। নেতৃত্ব আছে। কিন্তু নেই ভোট। ‘শূন্য’ বামেদের লড়াইটা এখন পুনরায় ভোটের ময়দানে নিজেদের অস্তিত্বের পুনরুদ্ধার করা। ডানকুনিতে হয়ে গেল সিপিএমে রাজ্য সম্মেলন। আলোচনা হল, দলের ভোট কৌশল, আলোচনা হল সংগঠনের পুনরুদ্ধার নিয়ে। আলোচনা হল মাটির সঙ্গে ‘দোস্তি’ বজায় রাখা নিয়ে।
সেই আলোচনার শেষ দিনেই মিটে গেল নির্বাচন পর্ব। রাজ্য সম্মেলন থেকেই বাছাই করা হল রাজ্য সম্পাদকের মুখ। পাশাপাশি, গঠন হয়েছে ৮০ জন সদস্যের রাজ্য কমিটি। তাতে রয়েছেন অনেকেই, তবে বাদ পড়েছেন কেউ কেউ। আর এই বাদ পড়ার তালিকায় যাঁকে নিয়ে জল্পনা ছিল সব থেকে বেশি, সেই সুশান্ত ঘোষের নাম খুঁজে পাওয়া গেল না সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তালিকায়।
তবে সুশান্ত একা নন। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আরও অনেকে। রাজ্য কমিটি থেকে ‘ছুটি’ অশোক ভট্টাচার্য ও জীবেশ সরকারও। বামেদের তরফে জানা গিয়েছে, ৮০ জনের নতুন রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন ১৪ জন মহিলা সদস্যও। আর এই সম্মেলন থেকেই ফের সিপিএমে রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিমই।
প্রসঙ্গত, সিপিএমের অন্দরে বয়সজনীত সীমা নিয়ে বারংবার উঠেছে প্রশ্ন। জ্যোতি থেকে বুদ্ধ, শাসনকালের ৩৪ বছরে রাজ্য কমিটিতে বেশির ভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে প্রৌঢ়দেরই। বয়স্কদের সব সময় ক্ষমতা তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলেরই একাংশ। ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন থেকে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে এমনটা নয়। বয়সজনীত কারণে বাদ পড়েছেন কয়েকজন। তবে তরুণ প্রজন্মে নতুন অন্তর্ভুক্তি সেই হিসাবে নেই। যা ছিল তাই রয়েছে।
কমিটি থেকে বাদ পড়লেন বাঁকুড়ার প্রবীণ নেতা অমিয় পাত্র। বয়সজনীত কারণে সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যকেও। একই ভাবে বাদ পড়েছেন অমিয় পাত্র ও সুখেন্দু পানিগ্রাহী। উল্লেখ্য়, আরজি কর-কাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতিতে কলতান দাশগুপ্তের ‘কণ্ঠ’ ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্কেরই জের। গুঞ্জন থাকা সত্ত্বেও রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেলেন না কলতান।
তবে এবারের কমিটিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি নতুন নাম। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য,দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী। কলকাতার সিটু নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours