উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন এই লাভলি। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী রেহানা সুলতানা।
লাভলির পদে কোপ! 'বাংলাদেশি' হওয়ার অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারিত TMC নেত্রী
অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়। ভিন দেশের নাগরিক হয়ে নাম ভাঁড়িয়ে বাংলায় এসে ভুয়ো ওবিসি কার্ড বানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, অবশ্য টিভি৯ বাংলার খবরের জেরে সেই শংসাপত্র খুইয়েছেন। বাকি ছিল পঞ্চায়েত প্রধানের পদ। অবশেষে সেটাও হারালেন লাভলি খাতুন।
বাংলাদেশ থেকে এসে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে প্রধানের দায়িত্ব বসার অভিযোগ ছিল এই লাভলির বিরুদ্ধে। টিভি৯ বাংলার লাগাতর খবরের জের। অবশেষে সেই পদও হারালেন লাভলি খাতুন।
জানা গিয়েছে, অস্বচ্ছতার অভিযোগে মালদহের রশিদাবাদ পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হল লাভলি খাতুনকে। মহাকুমা শাসকের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছে তার পঞ্চায়েতের সদস্যপদও। আপাতত, ওই পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাবেন উপপ্রধান, নির্দেশ মহাকুমা শাসকের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন এই লাভলি। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী রেহানা সুলতানা। ভোটে জয়ের পর পঞ্চায়েত প্রধান হলেও লাভলির ‘আসল’ পরিচয় প্রকাশ্য়ে আনতে উদ্যত হন রেহানা। যান বিডিওর কাছেও। সেখানে সর্বপ্রথম লাভলি পরিচয় পত্রে ধরা পড়ে গরমিল। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ না হওয়ায় শেষমেশ হাইকোর্টে গিয়ে দ্বারস্থ হন রেহানা।
সেই থেকেই যেন শিরে সংক্রান্তি লাভলির। জানা গিয়েছে, অপসারিত এই পঞ্চায়েত প্রধানের আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসেন তিনি। এসেই ভুয়ো ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেন লাভলি। বদলে দেয় নিজের বাবার নামও। কিন্তু হাজার প্রচেষ্টাতেও হল না শেষরক্ষা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours