উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার অঙ্গ হিসাবেই বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।

Medinipur: এক বছরেই নিভল আলো! সূর্যি পাটে গেলেই অন্ধকারে ডোবে বিদ্যাসাগরের গ্রাম
অন্ধকারে ডুবে থাকে গ্রাম

মেদিনীপুর: উন্নয়নের আলো মিটল এক মাসেই। আবারও অন্ধকারে ডুবল বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রাম। বছর তিনেক আগে রাজ্য সরকারের তরফে ঘটা করে পথবাতি চালু করা হয় বীরসিংহ গ্রামে। গোটা গ্রামকে আলোয় মুড়ে দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বছর ঘুরতে না ঘুরতে একের পর এক পথবাতি অকেজো হতে থাকে বলে অভিযোগ। এখন কোনও মতে ধুঁকছে কয়েকটি পথবাতি। বর্তমানে প্রায় অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বীরসিংহ গ্রাম। গ্রামের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আলোই নিভে গিয়েছে। পথবাতি অকেজো হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

একের পর এক পথবাতি যে অকেজো হয়ে পড়েছে, তা স্বীকার করেছেন বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের সচিব তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসও। তিনি বলেন, “বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আলো রয়েছে। কিন্তু গ্রামের রাস্তায় বেশ কিছু পথবাতি অকেজো। তাই পথবাতি মেরামতির জন্য একটি আনুমানিক টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের সময় বীরসিংহ গ্রামকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার অঙ্গ হিসাবেই বীরসিংহ গ্রামকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। মোট ৬৬২টি পথবাতি বসানো হয় । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক পথবাতি অকেজো হয়ে হতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

তাই বীরসিংহ গ্রামে সন্ধ্যার পর আলো জলে না পথবাতিতে। কোন কোন পথবাতির বাল্ব উদ্ভব হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার স্থানীয় মানুষ ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাল্ব। বর্তমানে ৪৬২ টি পথবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পণ্ডিতের গ্রামে আলোক ফেরাক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours