রথের রশিতে টান পড়বে আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। কিন্তু, নেই ভক্তের সমাগম। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু সেবাইতরা টানবেন রথ রশি। এবার পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট ও ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। নিরাপত্তাও জোরদার। রবিবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুরীতে জারি রয়েছে কার্ফু।

অবশ্য রীতিনীতি মেনেই চলছে পুজো। প্রথা মেনেই পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে বসানো হয়েছে। সঙ্গে বাজছে বাদ্যযন্ত্র, শঙ্খধ্বনি। তার আগে আরতি, অবকাশ, রসা হোম, সূর্য্য ও দ্বারপালা পুজো, মঙ্গল অর্পন সহ বিভিন্ন পুজোর রীতি মন্দিরের মধ্যেই পালিত হয়েছে।

বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি তিনটি রথ। জগন্নাথদেবের নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন। ইতিমধ্য়েই জগত্‍গুরু পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজ রথের উদ্দ্যেশে তাঁর অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন। প্রথা মেনে পুরীর মহারাজও সোনার ঝাঁটা দিয়ে রথ যাওয়ার পথ শুদ্দ করেছেন।

ওড়িশার অন্যতম উত্‍সব পুরীর রথযাত্রা। জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে রথ আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে যায়। রথের রশিতে টান দিতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। রাস্তার ধারে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু করোনার কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গতবারও ভর্কশূন্য চিল পুরীর রথযাত্রা। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রকোপ কমলেও সংক্রমণে থামেনি। তাই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে নির্দিষ্ট সংখ্যায় সেবায়েত ও কর্মীরা মিলেই রথের চাকা গড়াবে। কিন্তু এবারও পূর্ণ্যার্তীরা হাজির হতে পারবেন না।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours