বাইরে মেঘ করেছে। বৃষ্টিও হচ্ছে এদিক ওদিকে। আর ওদিকে মনে মেঘ জমেছে অর্কজা আচার্যের।

Tollywood News: ' মনে থেকো...', থেমে গেল 'শ্রেয়সী'র পথচলা, মন খারাপ অর্কজারথেমে গেল 'শ্রেয়সী'র পথচলা
শুরু হয় শেষ হওয়ার জন্যই। আর শেষ হলে যে মন খারাপ হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাইরে মেঘ করেছে। বৃষ্টিও হচ্ছে এদিক ওদিকে। আর ওদিকে মনে মেঘ জমেছে অর্কজা আচার্যের। অবশেষে শেষ হল ‘শ্রেয়সী’র পথচলা। প্রায় এক বছর আগে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। ওই ধারাবাহিকেই নাম ভূমিকায় ছিলেন অর্কজা। ধারাবাহিক শেষে মন খারাপ তাঁর। লেখেন, “গল্প ফুরিয়ে যায়, চরিত্রগুলো শুধু মনের আনাচে কানাচে থেকে যায়। আমরা মনের দরজা খুলে উঁকি দিলেই তাদের আবার হয়ত দেখতে পাব…শ্রেয়সী, টিনটিন, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, কমল, সুধা, রণিত, বিদিশা…সব্বাইকে।” নেটিজেনরাও জানিয়েছেন মিস করবেন অর্কজাকে, মিস করবেন শ্রেয়সীকে। কিন্তু ওই যে যেতে দিতে হয়। তাই আবারও অন্য কোনও ধারাবাহিকে ফিরে আসার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছেন সকলেই। শ্রেয়সী ধারাবাহিকের ট্যাগলাইন ‘সিঁথির সিঁদুরের লড়াই’। আজকের যুগে কতটা প্রাসঙ্গিক এই ট্যাগলাইন, এর আগে প্রশ্ন রেখেছিল টিভিনাইন বাংলা। অর্কজা বলেছিলেন, “অর্কজার কাছে এই সিঁথির সিঁদুরের লড়াই খুব যে প্রাসঙ্গিক তা নয়, তবে একটু গ্রামাঞ্চলে গেলেই কিন্তু ছবিটা আলাদা। শুধু গ্রামাঞ্চলই বা কেন আমাদের মা-দিদিমাদের কাছেও কিন্তু ব্যাপারগুলো বেশ প্রাসঙ্গিক। আর আমাদের ধারাবাহিকের মূল দর্শক তো তাঁরাই।”


এর আগে ‘ওগো নিরুপমা’ ধারাবাহিক দিয়েই বাংলা সিরিয়ালে পা রাখেন তিনি। পাঠভবনের ছাত্রী, বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা… থিয়েটারে অভিনয় ছোট থেকেই। এরপর তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে। যদিও মাঝপথে সেই ধারাবাহিক থামিয়ে দিয়ে তিনি যোগ দেন নতুন ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে। এবার শেষ হল সেই ধারাবাহিক। নতুন কোন ধারাবাহিকে তিনি যোগ দেন, এখন সেটাই দেখার।

প্রসঙ্গত, এর আগে অভিনেতা বিশ্ববসু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অর্কজা। কিন্তু সেই প্রেম ভেঙে যায়। তা নিয়ে অর্কজার বক্তব্য, “আসলে আমি আর বিশ্ব (বিশ্বাবসু বিশ্বাস) প্রায় সাত-আট বছরের বন্ধু। তারপর প্রেম। তারপর যা হয়, ব্যক্তিগত দূরত্ব বাড়ে। আর আমরাও কোথাও গিয়ে উপলব্ধি করি বন্ধুত্বের থেকে প্রেম নয়, প্রেমের থেকে বন্ধুত্ব অনেক ভাল। সেই কারণেই আবারও বন্ধুত্বে ফেরা।” সে সময় রটেছিল দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে বিশ্বাবসুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই নাকি ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। সত্যি কি তাই? অর্কজার উত্তর, ” দিতি আসলে আমার ও বিশ্বদার বোন হয়। আমি সত্যি জানি না এ সব কী করে রটে। ওর সঙ্গে আমাদের ভীষণ ভাল সম্পর্ক। কত ভাল ভাল কাজ করছে ও। কী যে ভাল লাগে।” আপাতত তাঁকে নতুন কাজ দেখতে উদগ্রীব সকলেই। তিনি কবে কাজে ফেরেন, সেটাই দেখার।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours