মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল), গ্যাংটকের সঙ্গে নাথুলা পাসের সংযোগকারী, জওহরলাল নেহরু সড়কের উপর, ১৫ মাইল এলাকায় ভয়াবহ তুষার ধসে মৃত্যু হল কমপক্ষে ছয়জন পর্যটকের। আরও ৮০ জন এখনও পর্যন্ত পুরু বরফের পরতের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Video: গ্যাংটকে ভয়াল তুষারধস, মৃত শিশু-সহ ৬, বরফের নীচে কমপক্ষে ৮০যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ
গ্যাংটক: সিকিমের গ্যাংটকে বড় বিপর্যয়। ভয়াবহ তুষার ধসে মৃত্যু হল কমপক্ষে ছয়জন পর্যটকের। আরও অন্তত ৮০ জন এখনও পর্যন্ত পুরু বরফের পরতের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ, গ্যাংটকের সঙ্গে নাথুলা পাসের সংযোগকারী, জওহরলাল নেহরু সড়কের উপর, ১৫ মাইল এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ডানিয়েছেন, নিগত ৬জনকেই উদ্ধার করে নিকটস্থ আর্মি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীনই অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং একজন শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে চিন সীমান্তবর্তী নাথুলা পাস অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। আকস্মিক তুষারধস নামায় জওহরলাল নেহরু সড়কের উপরও আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। ইতিমধ্য়েই সেখান থেকে ৩০ জন পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতাল এবং সেন্ট্রাল রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও অন্তত ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক ১৪ মাইল এবং ১৫ মাইল এলাকার মাঝে আটকা পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, সিকিম পুলিশ, সিকিমের ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় চালকরা – সকলে মিলে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।


ভারতীয় সেনার এক সূত্র জানিয়েছে, গভীর উপত্যকা থেকে নিহত ছয়জন-সহ এখনও পর্যন্ত ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের সকলকে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, “তুষারের নীচে ১.৫ ঘণ্টা চাপা থাকার পর, এক মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে এসটিএনএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” ১৪ মাইল চেকপোস্টের ইন্সপেক্টর জেনারেল সোনম তেনজিং ভুটিয়ার মতে, এই বিপর্যয়ের পিছনে পর্যটকদেরও গাফিলতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “শুধুমাত্র ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তার জন্যই পর্যটকদের পাস দেওয়া হয়। কিন্তু, পর্যটকরা জোর করে ১৫ মাইলে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনাটি ১৫ মাইল এলাকাতেই ঘটেছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours