ওরা বুধতে পেরেছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই এবার বলছে পঞ্চায়েত ভোটে বুথ দখল হবে না।” পাল্টা তোপ বিজেপি নেতার।

আমরা জোর করে পঞ্চায়েত (Panchayet) দখল করবনা, দল এটা ঘোষণা করে দিয়েছে। ভোট করতে গেলে বেশি বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কিষাণ খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু দাসপুরের সভা থেকে এমনই বার্তা দিলেন। পাশাপাশি এদিন তিনি রাসায়নিক সার নিয়ে যে কালোবাজারি হচ্ছে সেই নিয়ে কৃষকদের সতর্কও করেন।

এদিন দাসপুরে সবুজ সংঘের মাঠে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কিষাণ ক্ষেতমজুরের ডাকে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুর্নেন্দু বসু। সেই সম্মেলনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিগত পঞ্চায়েত ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ‘সতর্ক’ করে দেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। শেষবারের নির্বাচনে বিরোধী শূন্য করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত দখলের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। যা ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়ায় বাধা দান থেকে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগও উঠেছিল শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রভাব ২০১৯ লোকসভা ভোটেও প্রভাব ফেলেছিল। ফল ভুগতে হয়েছিল শাসক তৃণমূলকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের। কিন্তু এই ছবি কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না, এই বার্তাই যেন এদিনের সভা থেকে দিতে চাইলেন পূর্ণেন্দু, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

এদিনের সভা থেকে খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “পঞ্চায়েতে সবই তো আমাদের দখলে। আমাদের দখলে আছে তাই আবার আমরা দখল করে নেব এটা ভেবে নিলে মুশকিল। এটা কিন্তু এবার হবেনা। আমরা এবার জোর করে পঞ্চায়েত দখল করবনা। দল এটা ঘোষণা করে দিয়েছে। ভোট করতে গেলে বেশি বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।” পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। কারণ এরা মানুষের জন্য কাজ করে না। উন্নয়নের নাম করে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, আর কাটমানি বছরের পর বছর চালাচ্ছে। সে জায়গায় ওরা বুধতে পেরেছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই এবার বলছে পঞ্চায়েত ভোটে বুথ দখল হবে না। তার মানে আগে ওরা বুথ দখল করত। এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম!” 

অন্যদিকে এ সভা থেকেই আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অমল পণ্ডার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের (Trinamool Congress) জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম কেন? এই প্রশ্ন তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সঙ্গে পূর্ণেন্দুবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি পূর্ণেন্দুদাকে বলব আপনি দিদির সঙ্গে কথা বলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। মেয়েদের সংখ্যা তো বেশি থাকতে হবে। মায়েদের তো আসতে হবে। আমাদের গ্রামে তো মহিলা খেতমজুরের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাহলে তাঁদের সংখ্যা এত কম হবে কেন? আমি দুধ খাব কিন্তু গরু আমি পালব না! এটা হয়?” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর চাপানউতর হয় রাজনৈতিক মহলে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours