সরকারি চাকরির পরীক্ষা নিয়ে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শাসক দলের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেছেন সুদীপ রায় বর্মণ (Sudip Roy Barman)। ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিপ্লব (Biplab Deb) ও সুদীপ দুটি আলাদা মেরুর বলেই পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে সুদীপের এই পোস্ট বিশেষ অর্থবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক কটাক্ষ শুরু করেছে।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, "সরকারি চাকরির পরীক্ষা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ বর্মণের পোস্ট। কী অবস্থা! মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি বিষয় বলার সুযোগ দলের সিনিয়র বিধায়কেরই নেই। পোস্ট করতে হয়।" কী লিখেছেন সুদীপ রায় বর্মণ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ত্রিপুরা জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড সম্প্রতি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বিধিমালা নিয়ে পরীক্ষার্থী মহলে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় এ নিয়ে পরীক্ষার স্বচ্ছতা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ও ককবরক বাধ্যতামূলক হওয়া যুক্তি সঙ্গত, তবে কোনভাবেই ইংরেজি স্থানীয় ভাষার মর্যাদা পেতে পারে না।



দ্বিতীয়ত, অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে সিলেবাস নির্দিষ্ট করা থাকলেও সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে সিলেবাসের কোন পরিসীমা নির্দিষ্ট করা নেই, কিংবা ত্রিপুরা বিষয়ক কোন কিছুই নির্ধারিত নেই, যা নিঃসন্দেহে অযৌক্তিক । তৃতীয়ত, এই সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করতে পি আর সি বাধ্যতামূলক হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত । সবশেষে, বিশেষ করে গ্রুপ ডি চাকুরির ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে কখনোই বহিঃরাজ্যের প্রার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না এবং লিখিত পরীক্ষাও কোনদিন হয়নি। কারন, এই অংশের চাকুরী প্রার্থীরা অধিকাংশ ই সার্বিকভাবে দূর্বল হয়। কিন্তু এবারই এর ব্যতিক্রম হল, তবে কার স্বার্থে কেন হল, জানার অধিকার রাজ্যবাসীর রয়েছে। এই সার্বিক প্রেক্ষাপটে আমি উল্লেখিত পরীক্ষা কর্মসূচি বাতিল করার জন্য ফের আরেকবার সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এবং গোটা বিষটির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।।

প্রসঙ্গত, সুদীপ বা তার পছন্দের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। সরবেন বিপ্লব দেব এমনটাই গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। যদিও গত সপ্তাহে সুদীপ দিল্লি সফর সেরে ফেরার পরেই বদলে যায় অবস্থা। তার পরেই সুদীপের এই পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours