ভোররাতে আগুনে (Fire) ভস্মীভূত হাওড়ার তুলোর গুদাম। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। তবু দমকলের ৫ টি ইঞ্জিনের সাহায্যে দীর্ঘক্ষণ পর আগুন আয়ত্বে আনা গিয়েছে। তবে এখনও কোথাও কোথাও রয়ে গিয়েছে পকেট ফায়ার। সালকিয়া টেক্সটাইল নামে ওই কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। ভোরবেলা এই খবর পেয়েই কারখানায় পৌঁছে যান মালিক সুনীল টিবরেওয়াল। পুড়ে যাওয়া গুদামের সামনে বসে কার্যত মাথায় হাত তাঁর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার (Howrah) বাঁধাঘাটে সালকিয়া টেক্সটাইল নামে তিনতলা একটি কারখানা রয়েছে। একতলা তুলোর, দোতলায় হোসিয়ারি কারখানা। রবিবার ভোররাত ৩টের পর এই কারখানা দাউদাউ আগুনে জ্বলে ওঠে। বিপদ টের পান আশেপাশের মানুষজন। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে কারখানা বন্ধ থাকায় শাটার ভেঙে তবে দমকল কর্মীরা আগুনের উৎসে পৌঁছে তবেই তা নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হয়েছে। আপাতত আর তা ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছেন দমকল আধিকারিক তপন ঘোষ। তাঁর কথায়, ”কারখানায় ঢোকার রাস্তা পাচ্ছিলাম না। শাটার ভেঙে ঢুকতে হয়েছে। তুলোর গুদাম হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। এখন তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।” কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে তার তদন্তে নামবে দমকল।ভোররাতে এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ চলাকালীনই কারখানার মালিক সুনীল টিবরেওয়াল পৌঁছে যান কারখানায়। তাঁর ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেই এই পরিস্থিতি। তবে কারখানায় রাতে কেউ ছিল না। সকলে কারখানার বাইরে থাকায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। সালকিয়া টেক্সটাইলে দোতলায় হোসিয়ারি সামগ্রীর কারখানার তেমন ক্ষতি না হলেও তুলোর গুদামটি পুড়ে ছাই। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেন বলে জানিয়েছেন সুনীল টিবরেওয়াল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours