তিন দিনের সফরে লাদাখে রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দীর্ঘ দিন ধরে চলা অস্থিরতার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মি। তারপরে এটাই প্রথম লাদাখ সফর রাজনাথ সিং-এর। লাদাখে পৌঁছে তিনি বলেন দেশের প্রতি ভারতীয় সেনা আর প্রবীণদের ত্যাগ 'উদাহরণের উদাহরণ'। রবিবার লাদাখ পৌঁছেছেন রাজনাথ। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সামরিক ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখা আর দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকই তাঁর সফরের মূল কর্মসূচি।




সূত্রের খবর ;  কার্গিলসহ লাদাখের স্বায়ত্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সের প্রবীণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন সেনা প্রধান জেনারেল এমএম লারাভানের ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীন আধিকারিকদের সঙ্গেও। জাতীয় সুরক্ষা আর সেনা বাহিনীর বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।



এদিন লাদাখে সেনা বাহিনীর উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং বলেন, দেশের প্রতি সেনা বাহিনী ও প্রবীণদের ত্যাগ একটি অনুকরণীয় উদাহরণ। যা সকলের গ্রহণ করা উচিত্‍। তিনি বলেন সেনা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি দেশের মানুষের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। সকলেই তাঁদের শ্রদ্ধা করেন। তিনি আরও বলেন ভারতীয় সেনার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই হল দেশের নিরাপত্তা আর সুরক্ষা নিশ্চিত করা । তারপরেও যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয় তার জন্য একটি হেলফ লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। গত বছর মে মাস থেকেই চিনা আগ্রাসনের খবর আসছিল। ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলছিল পূর্ব লাদাখ সেক্টর। পরবর্তীকালে একাধিক কূটনৈতিক আর সামরিক বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। দিন দুই আগেই চিনের সঙ্গে ভারত নতুন করে পূর্ব লাদাখ সেক্টরসহ একাধিক বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে। তারপরই মধ্যে রাজনাথ সিং-এর লাদাখ সফর যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিত দাঁড়িয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর মনোবল অক্ষুন্ন রাখা আর অতি উচ্চ এলাকার রণকৌশলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই তিনি লাদাখ সফরে গেছেন।





সূত্রের খবর   ;, দোপসাংসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে চিন সেনা সরাতে নারাজ। সেই কারণে প্রায় থমকে রয়েছে ডিএসক্যালেশন প্রক্রিয়া। শুক্রবার সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজম কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারত ও চিন পূর্ব লাদাখ সেক্টরের বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে আলোচনা শুরু করার সামরিক বৈঠকে মুখোমুখি বসতে রাজি হয়ে। যদিও তার আগেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে অস্থিরতার জন্য ভারত চিনকেই দায়ি করেছিলে। পাল্টা চিন জানিয়েছিল সেটি সাধারণ সামরিক ব্যবস্থার একটি অঙ্গ।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours