গ্লোবাল সামিটের শুরুতেই জার্মানিতে নতুন ভারতের কথা তুলে ধরলেন  নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস

গ্লোবাল সামিটের থিম হল 'ডেমোক্র্যাসি, ডেমোগ্রাফি, ডেভেলপমেন্ট: দ্য ইন্ডিয়া জার্মানি কানেক্ট'। এই বিষয়ের অনেক দিক এবারের সম্মেলনে ক্রমে ক্রমে তুলে ধরা হবে। বরুণ দাস তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, সম্মেলনে এই বক্তব্যে কথা বলার জন্য থাকবেন পলিসি মেকার থেকে ইন্ডাস্ট্রি ক্যাপ্টেন অনেকেই।
News9 গ্লোবাল সামিটের শুরুতেই জার্মানিতে নতুন ভারতের কথা তুলে ধরলেন  এমডি ও সিইও বরুণ দাস
বরুণ দাস


 নেটওয়ার্কের এমডি ও সিইও বরুণ দাস। বক্তব্যের শুরুতেই একটি কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বিমানে এক জার্মানের সঙ্গে সাক্ষাতের সেই গল্প উল্লেখ করেন তিনি।


বরুণ দাস বলেন, “আমার পাশে একজন জার্মান ভদ্রলোক বসেছিলেন। তিনি জানান, নিউ ইন্ডিয়া বা নতুন ভারত সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ভারতে কী পরিবর্তন হয়েছে, জানতে চাইলেন। আমাকেও প্রশ্নটা একটু ভাবাল। ভেবে বললাম, ভারতের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা হল, তারা মূল্য়বোধ বজায় রেখে আধুনিকতার পথ গ্রহণ করতে পারে সহজেই।”



ওরা তো শোরুম খুলে বসেছে, যাঁকে-তাঁকে সার্টিফিকেট দিচ্ছে: সুপ্রিম কোর্ট
বরুণ দাস মনে করেন, ভারতের বিশেষত্বই হল, এই দেশ সবাইকে নিয়ে চলতে পছন্দ করে। আর এখন গোটা বিশ্ব বুঝেছে, এটাই শান্তি ও উন্নতির একমাত্র পথ। ভারত কীভাবে আধুনিকতার পথে এগিয়ে চলেছে, সে কথা বলতে গিয়ে ওয়্যারলেস ও ডিজিটাল টেকনোলজির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, “ভারতে শুধুমাত্র অগস্ট মাসে ২০ বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে ইউপিআই-এর মাধ্যমে। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষ শুধু নিজেদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন করে তাই নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পায় তাদের স্মার্টফোনে।” ভারত কীভাবে একটা স্মার্টফোনকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ‘টুল’-এ পরিণত করেছে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে, সে কথাও তুলে ধরেন বরুণ দাস। ভারতে গত ১০ বছরে কীভাবে ২৪০ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য কাটিয়ে উঠেছে, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।


এমডি ও সিইও বরুণ দাস বলেন, “এই বছর ভারত ও জার্মানির কৌশলগত সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।” ভারত যে জার্মানির সবথেকে বড় বাণিজ্যিক পার্টনার সে কথা উল্লেখ করে বরুণ দাস বলেন, “বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বাণিজ্য চলে দুই দেশের মধ্যে।” আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতের ইউরোপের রফতানি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়তে পারে, অন্যদিকে ভারত থেকে জার্মানিতে রফতানিও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে। FTA স্বাক্ষরিত হলে ২০২৮-এর মধ্যে ২৫৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন বরুণ দাস।

তথ্য তুলে ধরে বরুণ দাস বলেন, “বর্তমানে ভারতে ১৫০টি জার্মান গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার আছে। আরও তৈরি হচ্ছে। জার্মান সংস্থাগুলি এখন আর ভারতীয় সংস্থাগুলিকে লো কস্ট ডেস্টিনেশন বলে মনে করে না।”

সম্প্রতি জার্মানির ফেডেরাল মিনিস্টার অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইয়োহান ওয়াডাফুল যে ভারতে গিয়েছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেন বরুণ দাস।

এবার  গ্লোবাল সামিটের থিম হল ‘ডেমোক্র্যাসি, ডেমোগ্রাফি, ডেভেলপমেন্ট: দ্য ইন্ডিয়া জার্মানি কানেক্ট’। এই বিষয়ের অনেক দিক এবারের সম্মেলনে ক্রমে ক্রমে তুলে ধরা হবে। বরুণ দাস তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, সম্মেলনে এই বক্তব্যে কথা বলার জন্য থাকবেন পলিসি মেকার থেকে ইন্ডাস্ট্রি ক্যাপ্টেন অনেকেই।

সব শেষে বরুণ দাস ওই বিমানের জার্মান ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, “সে দিন ওই জার্মান ব্যক্তিকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। একইভাবে আমি সবাইকে ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। সবাই আসুন। নরেন্দ্র মোদীর বিকশিত ভারতের জার্নিতে অংশ নিন। ২০৪৭-এৎ মধ্যে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অটোমোটিভ প্রোডিউসার হয়ে উঠবে। বছরে তৈরি হবে ২০০ মিলিয়ন গাড়ি।” সব শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিখ্যাত সুইস-জার্মান কবি, নোবেলজয়ী হার্মান হেসে উদ্ধৃত করে বরুণ দাস বলেন, “এর অর্থ হল, সম্ভবকে অর্জন করতে গেলে অসম্ভবের চেষ্টা করতে হবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours