সঞ্জয়ও তখন অসুস্থ স্ত্রী রিচা শর্মাকে বাড়িতে রেখে মাধুরীর সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত। গুঞ্জনে এসেছিল মাধুরী ও সঞ্জয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে বিয়ে করবেন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু মাধুরী ও সঞ্জয়ের মাঝে খলনায়ক হয়ে এন্ট্রি নেন পরিচালক সুভাষ ঘাই!
সেক্স করা যাবে না! মাধুরী দীক্ষিতকে বলে দিলেন সুভাষ ঘাই, এরপরের ঘটনায় কেঁপে গেল বলিউড
সময়টা নয়ের দশক। সব নায়িকাদের টেক্কা দিয়ে বলিউডে তখন রাজত্ব করছেন ‘ধক ধক’ গার্ল মাধুরী দীক্ষিত। বক্স অফিস তখন একেবারেই মাধুরীময়। আর সেই সময়ে নায়করাও মাধুরী ম্য়াজিকে মন্ত্রমুগ্ধ। অনিল কাপুরকে পাশ কাটিয়ে তখন সঞ্জয় দত্তর প্রেমে হাবুডুব খাচ্ছেন মাধুরী। সঞ্জয়ও তখন অসুস্থ স্ত্রী রিচা শর্মাকে বাড়িতে রেখে মাধুরীর সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত। গুঞ্জনে এসেছিল মাধুরী ও সঞ্জয় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু মাধুরী ও সঞ্জয়ের মাঝে খলনায়ক হয়ে এন্ট্রি নেন পরিচালক সুভাষ ঘাই!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সঞ্জয় দত্তর প্রেমিকার তালিকা ছিল বেশ লম্বা। কখনও টিনা মুনিম, কখনও রবিনা ট্য়ান্ডন। তবে মাধুরীর সঙ্গে একেবারে পাকাপোক্ত প্রেম করেছিলেন সঞ্জয়। আর তাই তো শোনা যায়, মাধুরীর বিয়ের পর বড় আঘাত পেয়েছিলেন সঞ্জুবাবা।
এই গপ্পোটা সুভাষ ঘাইয়ের খলনায়ক তৈরির সময়। মাধুরী-সঞ্জয়ের প্রেম নিয়ে তখন বলিউডে জোর শোরগোল। এমনকী, রটে যায় তাড়া নাকি জলদিই বিয়ে করেছন, সেই সময়ই খলনায়ক ছবির প্ল্য়ান করে ফেলেছিলেন সুভাষ। সেই মতো শুটিং শুরুরও পরিকল্পনা করে ফেলেন। শোনা যায়, মাধুরী ও সঞ্জয়ের এই প্রেমের সম্পর্কটা খুব একটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। সুভাষ ভয়ে ছিলেন, খলনায়ক ছবির শুটিং চলাকালীন যদি তাঁদের বিয়ে হয়, মাধুরী যদি অন্তঃসত্ত্বা হয় তাহলে ছবি বন্ধ হতে পারে। সেই আতঙ্কেই এক মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন সুভাষ।
এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, খলনায়কের শুটিং শুরুর আগে মাধুরীকে ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন সুভাষ। সুভাষ স্পষ্ট মাধুরীকে বলেছিলেন, বিয়ে এবং সেক্স করা যাবে না! এই শর্তে যদি রাজি থাকো, তাহলেই খলনায়ক ছবিতে সুযোগ মিলবে। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়, মাধুরী নাকি সেদিন খুবই অপমানিত বোধ করেছিলেন এবং সুভাষকে মুখের উপরই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ছবিতে অভিনয় করবেন না। সঞ্জয়ের কানেও একথা যায়। সঞ্জয়ও বেঁকে বসেন। পরে অবশ্য সুভাষ নিজের ভুল বুঝতে পারেন। ক্ষমাও চান। শেষমেশ খলনায়ক ছবির শুটিংও শুরু হয়। ১৯৯৩ মুক্তি পায় এই ছবি। বক্স অফিসের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল খলনায়ক। এই ছবির চোলি কে পিছে গান তো দারুণ জনপ্রিয়। তবে সঞ্জয় ও মাধুরীর প্রেম বেশিদিন টেকেনি। মাধুরী বিয়ে করেন চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে। আর অন্যদিকে সঞ্জয় দত্ত বিয়ে করেন মান্যতাকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours