পুরো ম্যাচে একটি গোল এবং জয় ছাড়া মোহনবাগানের প্রাপ্তিতে কিছু নেই। লিগে শুরুর দিকে অনবদ্য পারফর্ম করছিল সবুজ মেরুনের তরুণ ফুটবলাররা। লিগে ভালো পারফর্ম করতে পারলে সিনিয়র দলের দরজা খুলবে। শুরুর দিকে বাড়তি তাগিদ নিয়েই খেলছিলেন তরুণ ক্রিকেটাররা। বেশ কয়েকজন সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান। লিগ যত গড়িয়েছে, ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছে সবুজ মেরুন। সুপার সিক্সে ওঠাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

Mohun Bagan: রোহেনের গোলে মানরক্ষা! লিগে সুপার সিক্স কার্যত পাকা মোহনবাগানের

কলকাতা: ঠিক এক সপ্তাহ আগে এমন সময় অপেক্ষায় বাংলায় ফুটবলপ্রেমীরা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ছিল ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। আরও ভালো করে বললে, স্বপ্নের ফাইনাল। ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার। ফাইনালে বদলার ম্যাচ ছিল সবুজ মেরুনের কাছে। ৬১ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া, তাদের কাছে বিরাট ধাক্কা। দশজনের মোহনবাগানও অনবদ্য প্রত্যাবর্তন করে। দিমিত্রি পেত্রাতোসের একমাত্র গোল। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। সিনিয়র দলের লক্ষ্য এ বার আইএসএলে খেতাব ধরে রাখা এবং এএফসি কাপে ভালো ফল। কিন্তু রিজার্ভ দলের পারফরম্যান্স, কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে এ দিন পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান। রোহেন সিংয়ের একমাত্র গোলে জয়। ম্যাচের প্রথমার্ধেই হেডে গোলটি করেন রোহেন। অনেকটা লাফিয়ে হেডে গোল। কিন্তু পুরো ম্যাচে এই গোল এবং জয় ছাড়া মোহনবাগানের প্রাপ্তিতে কিছু নেই। লিগে শুরুর দিকে অনবদ্য পারফর্ম করছিল সবুজ মেরুনের তরুণ ফুটবলাররা। লিগে ভালো পারফর্ম করতে পারলে সিনিয়র দলের দরজা খুলবে। শুরুর দিকে বাড়তি তাগিদ নিয়েই খেলছিলেন তরুণ ক্রিকেটাররা। বেশ কয়েকজন সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান। লিগ যত গড়িয়েছে, ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছে সবুজ মেরুন। সুপার সিক্সে ওঠাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে জিতলেও দলের খেলা হতাশ করেছে গ্যালারিকেও। ডুরান্ড জয়ের পর তরুণ ফুটবলাররা আরও তাগিদ নিয়ে খেলবেন, এমনটাই যেন প্রত্য়াশা ছিল। সবুজ মেরুনে চিন্তা বাড়িয়েছিল প্রতিপক্ষ পিয়ারলেস। বেশ কয়েকটি গোলের পরিস্থিতিও তৈরি করে তারা। দু’বার সহজ সুযোগ নষ্ট করে পিয়ারলেস। বাগানের আক্রমণ রুখে দেয় পিয়ারলেস। আলাদা করে বলতে হয় পিয়ারলেস গোলকিপারের কথাও। দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের ভাগ্য সহায় থাকায় পিয়ারলেস গোল করতে পারেনি। জয়ের সুবাদে সুপার সিক্সের পথ অনেকটাই পাকা করল সবুজ-মেরুন। তবে বাগানের রিজার্ভ ফুটবলারদের পারফরম্যান্স কোচ বাস্তব রায়কে চিন্তায় ফেলতে বাধ্য।


সিনিয়র দলের হেড কোচ হুয়ান ফেরান্দো ম্যাচে এসেছিলেন। ভিআইপি বক্সে বসে দলের খেলা দেখার পর চলে যান ফেরান্দো। ডুরান্ডের ট্রফি নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours