তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পাক সহায়তা অব্যাহত। বিএসএফ-এর তৎপরতায় ভেস্তে গেল কারসাজি।

তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পাক সহায়তা অব্যাহত। ফের পাকিস্তান থেকে ভারতে ড্রোন মারফৎ উড়ে এল বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। তবে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি এড়াতে পারেনি ড্রোনটি। গুলি চালিয়ে সেটিকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে বিএসএফ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ), পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায়। গুরুদাসপুরে নবী নগর নামে পাক সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের কাছে ড্রোন ওড়ার গুঞ্জন শুনতে পেয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। শব্দ পেয়েই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ড্রোনটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর, বিএসএফ পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে অনুসন্ধান অভিযান চালায়। গ্রামের এক জায়গায় হেক্সাকপ্টারটি পাওয়া যায়। সেটিতে করে একটি একে সিরিজের রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন এবং ৪০টি বুলেট পাঠানো হয়েছিল।


এক সপ্তাহ আগেই, পঞ্জাবের অমৃতসরে আরও একটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ড্রোনটির ফরেনসিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, আগে সেটি চিনের কিছু অংশে এবং তারপর পাকিস্তানে ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর, সেটিকে ভারত-পাক সীমান্তে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের ১১ জুলাই চিনের সাংহাইয়ের ফেং জিয়ান জেলায় প্রথম ড্রোনটিকে ওড়ানো হয়েছিল। পরে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে, পাকিস্তানের খানেওয়ালে অন্তত ২৮ বার ড্রোনটিকে ওড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ওই ড্রোনটির ক্ষেত্রে চিন ও পাকিস্তানের সরাসরি যোগ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলি করে নামানো ড্রোনটিরও ফরেন্সিক বিশ্লেষন করা হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours