যে স্কুলে অর্ণব কাজ করত সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন অর্ণব মুখোপাধ্যায় নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করত। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য শুক্রবার থেকে স্কুলে আসছেন না।


কোথাও নেতার স্ত্রী, কোথাও মন্ত্রীর ভাই। হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ-সি (Group-C) তে চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর একের পর এক হেভিওয়েটদের পরিজনরা চাকরি হারাচ্ছেন। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরি খোয়ালো জেলা আইএনটিটিইউসির-সহ সভাপতির ছেলে। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল দুর্গাপুরের অর্ণব মুখোপাধ্যায়। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ভাইবায় সফলতা অর্জন করে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পায়। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে প্রায় পাঁচ বছর চাকরির পরে হাইকোর্টের নির্দেশে গেল চাকরি। অর্ণবের বাবা সমীর মুখোপাধ্যায় জেলা আইএনটিটিইউসির সহ-সভাপতি ।

স্কুলে অর্ণব কাজ করত সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন অর্ণব মুখোপাধ্যায় নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করত। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য শুক্রবার থেকে স্কুলে আসছেন না। দিনভর অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। বিকেলে অর্ণবের বাবা সমীর মুখোপাধ্যায়ের দেখা মেলে। তিনিই আবার এলাকার বড় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। অনৈতিকভাবে চাকরি পাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর উত্তর, আমি চাইনি আমার ছেলে এই চাকরি করুক। এও বলেন অর্ণব উচ্চ বেতনে বেঙ্গালুরুতে আইটি সংস্থায় চাকরি করত। তিনি বলেন, “আমি চাইনি ও এই চাকরি করুক। ও যদি ওর ক্যাটাগরির কাজ করত তাহলে ঠিক আছে। আমি প্রথম থেকেই এই চাকরি করতে বারণ করেছিলাম। একটা ছেলে ৬০-৭০ হাজার টাকা মাইনে পেত। সেখানে ১৫ হাজার টাকার মাইনের চাকরি করত ও। আমার কাউকে বলতে লজ্জা লাগত। ও যখন আবেদন করে তখনই আমি রাজি হইনি।”  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours