ফাটকা লাভে রাতারাতি লাখপথ বা কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখেন! বাস্তবে এ বার তা করে দেখালেন এক বঙ্গতনয়া। শুধুমাত্র ঘুমনোর দক্ষতা প্রমাণ করেই মোট ৬ লক্ষ টাকা পকেটে পুরলেন তিনি। হয়ে উঠলেন দেশের সেরা ঘুমকাতুরে (Sleeping Compettion)। 

ঘুমিয়েই তিন মাসে ৬ লক্ষ টাকা আয় শ্রীরামপুরের মেয়ের

হুগলির (Hooghly News) শ্রীরামপুরের (Serampore News) মেয়ে ত্রিপর্ণা। ছোট থেকেই ঘুমকাতুরে বলে ‘বদনাম’ ছিল তাঁর। পরীক্ষার হলে, এমনকি ইন্টারভিউ দিতে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়ার নজির রয়েছে তাঁর। তার জন্য কম কথাও শুনতে হয়নি তাঁকে। তবে সেই ঘুমই এ বার কড়কড়ে ৬ লক্ষ টাকা এনে দিল তাঁকে। 

সম্প্রতি একটি ম্যাট্রেস সংস্থার তরপে দেশব্যাপী ঘুমনোর প্রতিযোগিতার আয়োজিত হয়। প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ প্রতিযোগী তাতে অংশ নেন। সকলকে হারিয়ে সেরা ঘুমকাতুরের শিরোপা পেয়েছেন ত্রিপর্ণা। 


ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন, টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে গভীর ঘুম ঘুমিয়ে সেরা ঘুমকাতুরের খেতাব অর্জন করেছেন তিনি। তাতে ঘুমের সাধ যেমন পূরণ হয়েছে, তেমনই মোটা টাকা হাতে পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন: Howrah News: অবরোধে ৪ ঘন্টা হয়রানি, ভোগান্তি চরমে, হাওড়া স্টেশনে এখন কী পরিস্থিতি ?

ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন, ঘুম নিয়ে হাজারো মজার ঘটনা রয়েছে তাঁর জীবনে। পরীক্ষার হলে কখনও ঘুমিয়ে পড়েছেন। ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনেও ঘুমিয়ে পড়ার নজির রয়েছে তাঁর। তা নিয়ে হাজারো কটাক্ষ শুনতে হলেও, ঘুমের সঙ্গে কখনও আপস করেননি তিনি। 

কিন্তু ঘুমিয়ে টাকা অর্জনের এমন সুযোগ পেলেন কী করে? জবাবে ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ওই প্রতিযোগিতার কথা জানতে পারেন। প্রথম ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে উঠে আসার জন্য শুরুতে পান ১ লক্ষ টাকা। তার পর ফাইনালে বিজয়ী হয়ে হাতে পান ৫ লক্ষ টাকার চেক। 

ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন, টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমোতে হয় তাঁকে। কোন প্রতিযোগীর ঘুম সবচেয়ে গভীর, তা নিয়ে হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। তাতে সবথেকে বেশি নম্বর পান তিনি। ১০০-র মধ্যে তাঁর ঘুমের স্কোর ছিল ৯৫। ফাইনালে তাঁর ঘুম পর্যবেক্ষণ করতে ম্যাট্রেস সংস্থার তরফে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ছোট থেকেই ঘুমকাতুরে বলে ‘বদনাম’ ছিল ত্রিপর্ণার

ত্রিপর্ণা একটি মার্কিন সংস্থায় কর্মরত। রাত জেগে কাজ করতে হয় তাঁকে। ফলে দিনের বেলায় ঘুম পুষিয়ে নিতে হয় তাঁকে। তাই এই ১০০ দিনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এই ১০০ দিনের ঘুম তাঁকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেও সাহায্য করেছে। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours