ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ২৯ নভেম্বর থেকে নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই নিম্নচাপই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই নিম্নচাপই ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হবে। আর সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়বে অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে।

ইতিমধ্যে মৌসম ভবনের তরফে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।এমনকি পরিস্থিতি জটিল হলে সাইক্লোনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। যদিও পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।এটি বেশ শক্তিশালী হবে

মৌসম ভবন বলছে, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি বেশ শক্তিশালী হবে ও ক্রমশ উত্তর- পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাবে। তার জেরে আগামী ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষিপাত হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের তরফ থেকে করা এটি টুইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে। এছাড়া ১ ডিসেম্বর হাওয়া বইবে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে।

বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয় ঘূর্ণিঝড়ে
 

সাধারণত অক্টোবর ও নভেম্বরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয় ঘূর্ণিঝড়ে। অথচ এবার তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বঙ্গোপসাগরে। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে সারাদিন ধরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ওই ভারী বৃষ্টিপাত তৈরি হয়। সেই সময়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও লাগোয়া উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল।

দীঘা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত
 

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেই ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। তার প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এমনকি জামশেদপুর হয়ে দীঘা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয় মৌসুমী অক্ষরেখা। যার এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে।

শহরে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে
 

ইতিমধ্যে গত ২৭ নভেম্বর সকালে চেন্নাই শহরে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ মাসে চেন্নাইতে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৮ সিএম। আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, ১৯১৮ সালের নভেম্বরে চেন্নইতে ১০৮.‌৮ সিএম রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আইএমডি ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২৮ নভেম্বর চেন্নাইয়ের উত্তর উপকূসবর্তী জেলাগুলিতে ও পুদুচেরিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বর শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি আর এরই মধ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস। আইএমডি মনে করছে এ বছরের নভেম্বরের বৃষ্টিপাত হয়ত ২০১৫ সালের ১০৫ সিএম বৃষ্টিপাতের রেকর্ডকে ভাঙতে পারে।

source: oneindia.com
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours