কোভিড প্রতিষেধক (Covid Vaccine) নিয়ে সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি বৈঠকে বসবে দু'সপ্তাহের মধ্যেই। সেখানেই আলোচনা হবে, শিশুদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কীভাবে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা করবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ইন ইন্ডিয়াএকটি সূত্রে জানা যায়, যে শিশুরা নানা রোগে ভুগছে, তাদের সম্ভবত জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মার্চের মধ্যে অপর শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজের পরে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে বুস্টার ডোজ নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমেরিকা স্থির করেছে, যাঁদের কো-মরবিডিটি আছে তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বয়স্করাও ওই ডোজ পাবেন। ভারতে এখন কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.২ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পরে সুস্থতার এই হার সর্বাধিক। গত সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বে ফের কোভিডের এপিসেন্টার হয়ে উঠছে ইউরোপ। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে। নেদারল্যান্ডসে শুরু হয়েছে লকডাউন। তার প্রতিবাদ হচ্ছে নাগরিক সমাজের নানা মহল থেকে। গত শুক্রবার সেই প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। জনতার উদ্দেশে জলকামান ছোড়ে। দু'জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। জার্মান সরকার জানিয়েছে, শুধু ভ্যাকসিন দিয়ে অতিমহামারী রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অগত্যা লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে। জার্মানির রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট রবিবার জানিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার জন। মারা গিয়েছেন ৭৫ জন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহনকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাদের সরকারও কি অস্ট্রিয়ার মতো পুরোদস্তুর লকডাউন করার কথা ভাবছে? তিনি বলেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, 'আমরা এখন জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি'। এরই মধ্যে একটি উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডের ফলে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। অর্থাত্‍ গর্ভবতী মহিলাদের মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কোভিড সংক্রমণের জেরে। গবেষকরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবে মহিলাদের মধ্যে স্টিলবার্থের সম্ভাবনা যা থাকে, কোভিড সংক্রমণে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কোভিড যেন এতে অনুঘটকের কাজ করে। করোনা ভাইরাসের ডেলটা প্রজাতিই এই স্টিলবার্থের পিছনে অন্যতম কারণ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours