সংবাদ প্রতিদিন
প্রাণ ভয়ে কাঁপছেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) মহিলা বিচারপতিরা। মসনদে বসার পর থেকেই তাঁদের খুঁজে বেড়াচ্ছে তালিবান জেহাদিরা। একসময় যাদের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিলেন এই বিচারপতিরাই। সরব হয়েছিলেন, মহিলাদের অধিকার নিয়ে। এবার তাদের থেকে বদলা নেওয়া পালা তালিবানের! এমনটাই বলছে ইউরোপের এক সংবাদমাধ্যম 'ইউরো উইকলি'-র রিপোর্ট।
কেউ খুন করেছিল তো কেউ ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন মহিলা বিচারপতিরা (Female Judges)। কাবুলের ক্ষমতা দখলের পরই রাতারাতি আফগানিস্তানের জেল থেকে সেই সমস্ত অপরাধীদের মুক্তি দেয় তালিবরা। অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় কাবুলিওয়ালার দেশ। আর ঠিক সেদিন থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে চলছে বিচারপতিরা। অনেকে তো প্রাণ বাঁচাতে ঘর পর্যন্ত ছেড়েছেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ২২০ জন মহিলা বিচারপতি সপিরাবের ঘরছাড়া। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বিচারপতি নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন 'ইউরো উইকলি'র কাছে। জানিয়েছেন, 'মাঝরাতে সমস্ত অপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিল তালিবান (Taliban Terror)। খবর পাওয়া মাত্র সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। গাড়ি নিয়ে শহর ছেড়েছি। বাড়ি থেকে বেরনোর আগেই বোরখা পরে নিয়েছিলাম। যাতে কেউ চিনতে না পারে। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়েছি, খোঁজ করতে করতে তালিবরা আমার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলাম। তখনই আমাকে হুমকি দিয়েছিল সে। বলেছিল, আমার স্ত্রীর যা হাল করেছিলাম তোরও সেই অবস্থা করব। তখন বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামাইনি।' কিন্তু তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সেই ব্যক্তি একাধিকবার ওই বিচারপতিকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে বলে খবর। একা তিনি নন, একই গল্প আফগানিস্তানের শতাধিক মহিলা বিচারপতির। মৃত্যুর দিন গুনছেন তাঁরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours