রবিবার সন্ধেয় ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের মাঝামাঝি কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab)। যার জেরে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সমুদ্রে গিয়ে নিখোঁজ শ্রীকাকুলামের ৬ মৎস্যজীবী। সরাসরি ‘গুলাবে’র প্রভাব না পড়লেও বাংলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
রবিবার বিকেল নাগাদ ওড়িশার (Odissa) দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh)উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের উপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার কথা ছিল ‘গুলাব’-এর। তার প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধেয় গুলাব আছড়ে পড়ার পর আরও বেড়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দাপট দেখাচ্ছে হাওয়া। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শ্রীকাকুলাম জেলা প্রশাসনের তরফে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে এদিন সন্ধেয় নৌকোডুবিতে নিখোঁজ ৬ মৎস্যজীবী। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তাঁদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে।
গুলাবের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও রবিবার সকাল থেকেই বাংলার জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’র জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সমুদ্র অত্যন্ত উত্তাল থাকবে। তাই মৎস্যজীবীদের মাছ ধরেত যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সোমবারও দক্ষিণবঙ্গে ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটু বেশি বৃষ্টি হবে দুটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ তারিখ। মঙ্গল এবং বুধবার দক্ষিণ পূর্ব ঝড়ো হাওয়া বইবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। ফলে বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। তার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়।
দিঘা (Digha) উপকূলে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ২৮ এবং ২৯ তারিখ জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এই অবস্থায় দিঘায় সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সোমবারের মধ্যেই দিঘা ছাড়তে হবে পর্যটকদের। ৩০ সেপ্টেম্বর দিঘার হোটেল থাকবে পর্যটকশূন্য। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, নিউ দিঘা, শংকরপুরেও একই নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মাইকে প্রচার করে সচেতন করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours