দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এতদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী থাকলেও এখন তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউতে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। টিকাকরণের মাধ্যমেই একমাত্র এই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব। তাই টিকাকরণের উপর বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে রাজ্যে শুরু হল ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থার তৈরি করোনা টিকা জাইকোভ ডি-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ১০০ জনের উপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। তিনটি করে ডোজ দেওয়া হবে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল গোটা দেশ।মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষের গন্ডি ছুঁতে চলেছে। আর এর মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দেশে। আর ওই ঢেউ শিশুদের উপর বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তার কম বয়সীদের শরীরে টিকা কতটা কার্যকরী হবে তা জানতেই এবার শুরু হল ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পদ্ধতি বুঝিয়েছেন ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধিকর্তা অপূর্ব ঘোষ। বাচ্চাদের টিকা দিলে কী সুবিধা হতে পারে তাও জানান তিনি। ডবল ব্লাইন্ড ফোল্ড পদ্ধতিতে ৫০ জনকে আসল টিকা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৫০ জনকে দেওয়া হচ্ছে প্লেসিবো। অর্থাত্‍, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন তরল ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে তাদের। যদিও ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ প্রসঙ্গে কয়েকজন চিকিত্‍সক জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা খুব বেশি আক্রান্ত না হলেও তাদের টিকাকরণ খুবই প্রয়োজনীয়।

তবে যাদের উপর এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে তাদের ১ বছর পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিক থাকলে তারপরই রাজ্যের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের পাশাপাশি বাইপাসের ধারে আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর অন্য একটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ পেলেই সেখানে শুরু হবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours