বুধবার সকালেই রামনগরের এক ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। রাতে আর তিন মৃত্যুর খবর এলো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে মৃত্যু হয়েছে মন্দারমনি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার দুই বাসিন্দার। অন্য দিকে ভরা কোটালে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন ভোলা দাস নামের নৈহাটির এক তরুণ। মন্দারমনির মৃত ব্যক্তির নাম কানাই গিরি। ঘোড়ামারার মৃত ব্যক্তির নাম বৃন্দাবন জানা। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক ব্যক্তি।

মন্দারমনির বাসিন্দা কানাই গিরি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় আচমকাই তলিয়ে যান তিনি। গতকাল, বুধবার ইয়াসের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মন্দারমনি -সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরেই। সমুদ্রের জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। অন্তত চার লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

একই চিত্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার। মুড়িগঙ্গার জলোচ্ছ্বাসই সেখানে প্রাণ নিল বৃন্দাবন জানা নামের ওই ব্যক্তি। সাইক্লোন সেন্টারে উঠে এলেও ঝড় বৃষ্টি মাথায় তিনি বাড়ির পরিস্থিতি দেখতে যান। পরে বিপর্যয় কমলে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় নিকটবর্তী এক পানের বরজে। মনে করা হচ্ছে তীব্র জলোচ্ছ্বাসেই ভেসে গিয়েছিলেন তিনি।

অন্য দিকে নৈহাটিতে ভরা কোটা‌লের সময়ে গঙ্গা পারাপার না করার কথা বারংবার বলা হয়েছিল। সূত্রের খবর নৈহাটির যুবক ভোলা দাস নোঙরে নৌকো বাঁধতে জলে নেমেছিলেন সব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই। জলে তলিয়ে যান তিনি।

ইয়াস আসার আগের দিন বিকেলে মিনি টর্নেডোয় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ইয়াসের আছড়ে পড়ার দিন, বুধবার দুপুরে রামনগরের এক বাসিন্দা মাছ ধরতে সব জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন। ক্রমে আরও তিনটি মৃত্যুর খবর এলো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ জনের প্রাণ নিল ঘাতক সাইক্লোন ইয়াস। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours