দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার ফুটবলমহলও। তবে তাঁর মৃত্যুতে যেন বারবার মনে পড়ে যায় সেই অনবদ্য স্কিল, গোল আর হ্যান্ড অফ গড। ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যেতে হয় সেই আটের দশকে। আর্জেন্তাইন রাজপুত্রের ফিনিক্স পাখির মতো উত্থান। যে উত্থানের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে গেছিল গোটা ফুটবল জাতি। বাংলার ফুটবলজগতও মুহ্যমান মারাদোনার মৃত্যুতে।
শ্যাম থাপা- মারাদোনা বলতেই মনে পড়ে সেই অনাবিল হাসি, ঝাঁকরা চুল আর ড্রিবলিং। গোটা ফুটবল জাতিকে একসূত্রে বেঁধে দিয়েছিলেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। এত অল্প বয়সে ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। মারাদোনা চলে গেলেন, তবে তাঁর স্কিল, দক্ষতা আজীবন রূপকথার গল্প হয়ে থাকবে।

শিশির ঘোষ- আমার জীবনের ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। এর বাইরে মারাদোনাকে আমি আর কিছু ভাবতে পারিনা। ২০১৭ সালে কলকাতায় যেবার এসেছিলেন আমি মারাদোনার বাঁ-পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলাম। আমার কাছে তিনি আজীবন ভগবান হয়ে থাকবেন। 

সুরজিৎ সেনগুপ্ত- আমার দেখা বিশ্বের সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। খেলার বাইরেও বিভিন্ন রকম কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। বিশৃঙ্খল জীবন যাপনের জন্য অনেকবারই তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে। কয়েক দিন আগেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এত অল্প বয়সে তিনি চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। ১৯৮২ সালেই বোঝা গেছিল কত বড় ফুটবলার আসছেন। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতে তা প্রমাণ করেন। পৃথিবীর কাছে অত্যন্ত বেদনার খবর।

প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়- আমি এখনও ভাবতে পারছি না। আমি মারাদোনার অন্ধভক্ত। এখনও মনে হচ্ছে যে তিনি খেলছেন। তাঁর মতো ফুটবলার আর কখনও আসবেন বলে মনে হয় না। এই পৃথিবীতে ফুটবল মানেই মারাদোনা। মারাদোনাকে ছাড়া ফুটবলের আলোচনা কখনও হয় না। তার খেলা এখনও চোখে ভাসছে। চোখ জুড়ানো সেই খেলা কখনও ভুলতে পারব না। ফুটবলটাকে নিয়েই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। কলকাতায় যখন এসেছিলেন কাছ থেকে তাঁকে দেখেছিলাম। ফুটবলের রাজপুত্রকে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেটাই জীবনের সেরা প্রাপ্তি।

আলভিটো ডি'কুনহা- মারাদোনা যেসব গোল করেছেন তা ভোলার নয়। তাঁকে দেখেই আমাদের বড় হয়ে ওঠা। মারাদোনার ড্রিবলিং, পাসিং কোয়ালিটি, নেতাসুলভ মনোভাব কখনও ভুলতে পারব না। আদর্শ ফুটবলার ছিলেন তিনি। মারাদোনা চলে গেলেন ঠিকই, তবে তার স্মৃতি ভুলতে পারব না কখনও।

দীপেন্দু বিশ্বাস- মারাদোনা যত বড় খেলোয়াড়, তত বড় মনের মানুষ। ফুটবল ভগবানের মৃত্যু হয়েছে। এটা মানা যাবে না। মারাদোনার মৃত্যু হতে পারে না। চোখ বুজলেই মারাদোনার সমস্ত স্কিল, বল জাগলিং যেন দেখতে পাই। তিন বছর আগে কলকাতায় খুব কাছ থেকে মারাদোনাকে দেখেছিলাম। অত্যন্ত মুডি একজন মানুষ। মনের মণিকোঠায় আজীবন থেকে যাবেন ফুটবল ঈশ্বর।

সঞ্জয় সেন- আকস্মিক আঘাত। দুঃসংবাদ। ১৯৮২ বিশ্বকাপে প্রথমবার মারাদোনাকে টিভিতে দেখি। সেবার লাল কার্ড দেখে বেড়িয়ে গেলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর জাত। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের মারাদোনাকে কখনও ভুলতে পারব না। ১৯৯০ বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি। সেইসব ঝলকানি এখনও চোখের সামনে ভাসছে। মারাদোনা মানে অনেক স্মৃতি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours