রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতাল হয়রানির ঘটনাও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্তের পরিবার-পরিজনদের অভিযোগের তির বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর দিকে।

কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থায় অসামঞ্জস্য ও লাগামহীন হাসপাতাল বিলের ক্ষেত্রে শেকল লাগাতে আসরে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। কোভিড পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিলের অঙ্কে উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কোভিড পরীক্ষার টাকার বিলের উর্ধ্বসীমার ওপর ভিত্তি করেই এবার স্বাস্থ্য কমিশনকে নতুন অ্যাডভাইজারি পাঠাচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।


রাজ‍্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের বক্তব্য, " পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২২৫০ টাকার যে উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে সেটাও অনেকটাই বেশি। যে হারে সর্বত্র করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ওই পরিমাণ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। সাধারণ ভাবে শুধুমাত্র কোভিড টেস্টের  জন্য ওই পরিমাণ টাকা লাগারও কথা নয়। তাই স্বাস্থ্য কমিশনকে কোভিড পরীক্ষার ফি বাবদ টাকার অঙ্ক কমানোর জন্য অ্যাডভাইজারি পাঠানো হচ্ছে।"

এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, স্বাস্থ্য দফতর যেখানে ২২৫০ টাকায় কোভিড পরীক্ষার বিলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে, সেখানে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অ্যাডভাইজারিতে আদৌ কাজ হবে কি না! ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের এই সংক্রান্ত বিষয়ে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশন অ্যাডভাইজারি অগ্রাহ্য করলে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলতে সরাসরি নির্দেশিকা জারি করবে।"

স্বাস্থ্য দফতর ইতিবাচক কাজ করছে বলে তাদের ওপরেই আপাতত ভরসা রাখছেন বলে জানান মন্ত্রী সাধন পান্ডে। একই সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতে রোগী হয়রানির ঘটনার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours