অযোধ্যায় রাম মন্দির উদযাপন বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে করোনা থাবা বসাল সেখানে। আগামী সপ্তাহে ভূমি পুজো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল অযোধ্যার এক পুরোহিতের। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এখানেই শেষ নয়। ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেখানে কর্তব্যরত ১৬ জন পুলিশকর্মীর মধ্যেও।

৫ অগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ৫০ জনেরও বেশি VVIP-র সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আগেই জানিয়েছেন, ২০০ জনের বেশি অতিথি থাকবেন না অনুষ্ঠানে। দীপাবলির সাজে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও এ বার পড়ল করোনাভাইরাসের ছায়া। মন্দিরের এক পুরোহিতের শরীরের ধরা পড়েছে কোভিডের সংক্রমণ। আগামী সপ্তাহে ভূমিপুজোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। পাশাপাশি ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মীর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।

রাজকীয় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হয়েছে অযোধ্যায়। সরাসরি তা সম্প্রচারও হবে দূরদর্শনে। এ নিয়ে রাজনীতির এক শিবিরে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনার মধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, আম ভারতবাসী যখন অতিমারীতে বিপর্যস্ত, করোনা সংক্রমণের গতি যখন ঊর্ধ্বমুখী--ঠিক তখনই এমন অনুষ্ঠান কি বাঞ্ছনীয়?

যদিও এই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরে রাম মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণ শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিভিন্ন মহল। তৃণমূল তো বলেই দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগে করোনা সামলে পরে অযোধ্যায় ভূমিপুজো করতে পারতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মত, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখন কোভিড-মোকাবিলার লড়াইকেই ধ্যানজ্ঞান করা। দেশজুড়ে অতিমারীর প্রকোপ বৃদ্ধির আবহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাম মন্দিরের আসন্ন শিলান্যাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। বাংলার শাসকদল মনে করছে, কোভিড নিয়ন্ত্রণের 'পবিত্র কর্তব্য' পালনই এখন দেশের নেতার 'পরম ধর্ম' হওয়া উচিত।

মন্দির নির্মাণ কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘণ্টা দু'য়েকে অনুষ্ঠান হবে। নেতা-মন্ত্রী, সাধু-সন্ত ও আধিকারিক মিলিয়ে শ'দুয়েক মানুষের জমায়েত হবে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষের উদ্যোগে একই সংখ্যক মানুষের কোনও জমায়েত কি এই মুহূর্তে অন্য কোথাও করতে দেওয়া হবে? এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রাম মন্দিরের পুরোহিত ও পুলিশকর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণে এই নিয়ে প্রশ্নটা আরও জোরদার হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours