সরকারি ছাড়পত্র পেলে আগামী অসস্ট মাসেই বাজারে চলে আসবে রাশিয়ায় মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন। আর সেপ্টেম্বরে অন্যান্য দেশে এটি অনুমোদন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজারে আসার পরে প্রথমে করোনা যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি করোনার এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। গত ১৮ জুন সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে। মোট ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এক মাস ধরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। আবেদনের দু'সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুমোদন পেতে চলেছে তারা।

ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জেরে নাজেহাল বিভিন্ন দেশ। এই মারণ রোগের প্রতিষেধক বাজারে আনার ক্ষেত্রে শেষ ধাপে এগিয়ে গেল রাশিয়া। আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে বিশ্বের প্রথম কোভিড ভ্যাকসিনকে রুশ প্রশাসন ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম CNN জানিয়েছে।

১৯৫৭ সালে বিশ্বে প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে করে নজির সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ছিল স্পুটনিক ১। করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারকে সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার সভরেন ওয়েল্থ ফান্ডের প্রধান কিরিল ডিমিত্রিত। তিনি বলেছেন, 'করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার স্পুটনিক মুহূর্ত। স্পুটনিকের সাফল্য মার্কিনিদের বিস্মিত করেছিল। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও ওই একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। ফের প্রথম সাফল্য স্পর্শ করবে রাশিয়া' এই তহবিল থেকে রাশিয়ায় করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চলতি গবেষণায় অর্থের যোগান দেওয়া হচ্ছে।

চলতি বছরের মধ্যে নিজেদের দেশে পরীক্ষামূলক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া বিদেশে যাতে আরও ১৭ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে তারা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours