বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জাভেদের মামা রফিক ছুটে এসেছেন মুম্বই থেকে। এখনও পর্যন্ত তিনি ভাগ্নে বা তাঁর পরিবারের কোনও খোঁজ পাননি। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজছেন দেহ।


ফোন বাজছে, মেসেজ যাচ্ছে, শুধু উত্তর দিচ্ছে না কেউ! ধ্বংসস্তূপে খোঁজ মিলবে হৃদস্পন্দনের?
জাভেদ ও তাঁর পরিবার।


মৃত্যুপুরী হয়তো এমনই হয়। চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ, পড়ে রয়েছে ভাঙা-পোড়া সিট ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ। মাটিতে কার্যত মিশে গিয়েছে যাত্রীদের পোড়া দেহ। উদ্ধারকারী দল কষ্ট করেই সেই দেহ তোলার চেষ্টা করছে। একজন বাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের বাকি ২৪১ জন যাত্রী, পাইলট- ক্রু মেম্বারেরই মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে লাগাতার বেজে চলেছে ফোন। কার ফোন এটা? কে-ই বা ফোন-মেসেজ করছে বারবার?


মুম্বইয়ের বাসিন্দা জাভেদ আলী। স্ত্রী মরিয়ম এবং দুই সন্তানকে নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে লন্ডনেই থাকছিলেন। প্রবাসী জাভেদ এসেছিলেন মাকে দেখতে। ৬ দিন মুম্বইতে থাকার পর গতকাল, বৃহস্পতিবার তাদের লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই যাওয়া আর হল না।

সব থেকে মর্মান্তিক ঘটনা, এখনও তাঁদের ফোনে কল যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ করলে মেসেজ ডেলিভার হচ্ছে। কিন্তু কেউ ফোন ধরছে না বা রিপ্লাই করছে না। কোথায় জাভেদ এবং তাঁর পরিবার, তার হদিশ এখনও নেই।

বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জাভেদের মামা রফিক ছুটে এসেছেন মুম্বই থেকে। এখনও পর্যন্ত তিনি ভাগ্নে বা তাঁর পরিবারের কোনও খোঁজ পাননি। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজছেন দেহ।

দুর্ঘটনায় যাত্রীদের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে চেনা দায়। একমাত্র উপায় হল ডিএনএ পরীক্ষা। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নমুনাও দিয়েছেন। মৃতদের যে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বাদে পাওয়া যাবে। তবেই জানা যাবে পরিচয়।

আপাতত ফোনের মত হৃদস্পন্দন ধ্বংসস্তূপে কোথাও পাওয়া যায় কি না, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন জাভেদের পরিবার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours