সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি। যোগ্য-অযোগ্য পৃথক করা সম্ভব না হওয়ায় এমনই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
OMR শিট কারচুপির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বেতন চায় ওরা, মামলা সপাটে খারিজ করল হাইকোর্ট
ফাইল চিত্র।
ফের ধাক্কা ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের। যাঁদের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র কারচুপি করে চাকরি চাওয়ার অভিযোগ ছিল, তাঁরাই এবার বেতনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। নতুন করে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাতেও অংশ নিতে চান তাঁরা। শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এই মামলা করেছিলেন। তাঁদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহতাগী ও আইনজীবী করুণা নন্দী। তবে আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
মামলাকারীদের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁরা আদৌ এমন কিছুর সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন। তাই তাঁদের দাবি, তাঁদের বেতন দেওয়া হোক এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে দেওয়া হোক।
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতেই চাকরি চলে যায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। সেই রায়ের উপর কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, রায় ঘোষণার পর এখন যোগ্য বা অযোগ্য কীভাবে আলাদাভাবে বলা হচ্ছে?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours