বাংলাদেশের দিনাজপুরের বসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৮)-কে বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নারাবাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়, তারপর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা।
ইউনূসের মুখোশ খুলে দিল দিল্লি, একই প্যাটার্নে হিন্দু নেতা খুন!
ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দু। বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হল হিন্দু নেতাকে। ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু হিন্দুর উপরে এই অত্যাচারে আর চুপ রইল না ভারত। গর্জে উঠল প্রতিবাদে। ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে বলল, “হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করুন।”
বাংলাদেশের দিনাজপুরের বসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৮)-কে বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নারাবাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়, তারপর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনারই তীব্র নিন্দা করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এই হত্যাকাণ্ড একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করে হচ্ছে যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদেরই হত্যা করা হচ্ছে। আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি এবং আরও একবার অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনও অজুহাত বা ভেদাভেদ ছাড়াই হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, গত বছর অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের উপরে অত্য়াচার করা হচ্ছে। হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, জ্বালানো, এমনকী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভারতের তরফে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে বারবার। যদিও ইউনূস সরকার হিন্দুদের উপরে হামলার ঘটনাকে ব্যতিক্রমী বলেই উল্লেখ করেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours