ভাইস প্রেসিডেন্ট গলা চড়িয়ে বলেন যে জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অপমান করছেন। বলেন, "ওভাল অফিসে এসে, আমেরিকার মিডিয়াকে জ্ঞান দিচ্ছেন, আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত অপমানজনক"। এই কথা শুনে জেলেনস্কি বলেন, "আপনি কখনও ইউক্রেনে গিয়েছেন? দেখেছেন আমাদের সমস্যা কী?"



প্রায় হাতাহাতি লেগে যাচ্ছিল ট্রাম্প-জেলেনস্কির! 'শকুনি মামা' হয়ে ঝগড়াটা বাঁধাল কে?
ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বচসা।


সামনে রাখা ছিল স্প্রিং গ্রিন স্যালাড ও রোজমেরি রোস্টেড চিকেন। সেই খাবার ছুঁয়েও দেখল না কেউ। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তুমুল বচসা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের। ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই প্রায় ঘাড়ধাক্কা খেতে হল জেলেনস্কিকে। গোটা দুনিয়াই এখন চর্চা করছে ট্রাম্প-জেলেনস্কির ঝগড়া নিয়ে। কিন্তু এই ঝগড়াটা লাগাল কে? কী নিয়েই বা এত বচসা হল যে প্রায় হাতাহাতি বেঁধে গেল।


ভালভাবেই শুরু হয়েছিল ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক। হাসিমুখে, হ্যান্ডশেক করে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বৈঠক যখন শেষ হল, তখন কার্যত জেলেনস্কিকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন ট্রাম্প। তবে এই ঝগড়ার নেপথ্যে কিন্তু ট্রাম্প নন, ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স।

বৈঠকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছিলেন যে তিনি ক্ষমতায় থাকলে এই যুদ্ধ শুরু হতেই দিতেন না। এরপরই তিনি যুদ্ধের দায় ইউক্রেনের ঘাড়ে ঠেলতে থাকেন। এতদূর অবধি তাও ঠিক ছিল। বিতর্কের শুরু এক সাংবাদিকের প্রশ্ন থেকে। তিনি জানতে চান, ট্রাম্প কি রাশিয়ার পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন?


এরপরই ট্রাম্পকে থামিয়ে মুখ খোলেন জেডি ভান্স। তিনি বলেন, “চার বছর ধরে আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছিলাম যিনি সাংবাদিক বৈঠকে দাঁড়িয়ে শুধু ভ্লাদিমির পুতিন, কীভাবে পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিলেন, দেশ ধ্বংস করেছেন-তা নিয়েই কথা বলেছেন। আলোচনার মাধ্যমেই হয়তো শান্তির পথ মিলত।”

এবার চোয়াল শক্ত হয় জেলেনস্কির। বদলে যায় কথা বলার সুর। দৃঢ় কণ্ঠে তিনি যুদ্ধের ইতিহাসের পাঠ দিতে থাকেন। কোন কূটনীতির কথা বলছেন জেডি, জানতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। পাল্টা কড়া জবাবে জেডি ভান্সও বলেন, “আমি সেই কূটনীতির কথা বলছি যা তোমাদের দেশ ধ্বংসে ইতি টানবে।”

এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট গলা চড়িয়ে বলেন যে জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অপমান করছেন। বলেন, “ওভাল অফিসে এসে, আমেরিকার মিডিয়াকে জ্ঞান দিচ্ছেন, আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত অপমানজনক”। এই কথা শুনে জেলেনস্কি বলেন, “আপনি কখনও ইউক্রেনে গিয়েছেন? দেখেছেন আমাদের সমস্যা কী?”

এভাবেই তর্ক বাড়তে থাকে। বচসার মাঝে এবার ঢোকেন ট্রাম্প। বলেন, “আমরা কী অনুভব করব, তা বলার আপনি কেউ নন”। ভান্সও বলেন, “একবারও থ্যাঙ্ক ইউ বলেছেন?” জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, “অনেকবার বলেছি”। প্রায় তিন মিনিট চিৎকার-চেঁচামেচির পর জেলেনস্কি রাগে হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে যান।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours