এ দিন, এই মুজিবরকেই ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু গাড়িতে তোলার আগেই তাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় এলাকাবাসীদের একাংশ বলে অভিযোগ। গায়ে হাত তোলা হয় পুলিশ আধিকারিকদের বলেও দাবি।
পুলিশ বলছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী, বিধায়ক বলছেন দলের লোক, এই মুজিবর রহমান আসলে কে জানলে মাথা হাত পড়বে
কে এই তৃণমূল নেতা?
পুলিশ বলছে সে কুখ্যাত দুষ্কৃতী। কিন্তু তৃণমূল বিধায়কের দাবি সে নির্দোষ। কোনটা সঠিক? তার সদুত্তর নেই। তবে যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, পুলিশের কথায় সে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুজিবর রহমান। আর শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করতে গিয়েই বাধার মুখে পড়তে হল আধিকারিকদের। একপ্রকার প্রিজ়ন ভ্যানের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন গ্রামবাসী। যদিও, তাঁরা আদৌ সাধারণ গ্রামবাসী নাকি অভিযুক্তেরই দলবল তা জানা যায়নি। কিন্ত জানেন এই অভিযুক্ত কে?
এই মুজিবর রহমান কে?
জানা গিয়েছে, চোপড়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা মুজিবর রহমান। সে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান সে কথা নিজেই জানান টিভি ৯ বাংলাকে। ক্লিনচিট দেয় তাকে। বিধায়কের বক্তব্য, পুলিশই কোনও রকম ওয়ারেন্ট ছাড়া মুজিবরকে তুলতে গিয়েছিল। সেই কারণে বাধা দিয়েছে গ্রামবাসী। তিনি বলেন, “লোকাল কয়েকজন বলেছেন আমায় ও কোনও দুষ্কৃতী ছিল না। আগের বারের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য় ছিল। পুলিশ এসে ঘর ভাঙছে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়েছে।”
যদিও, পুলিশ কিন্তু বলছে অন্য কথা। চোপড়ার গোয়ালপোখর এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তর রয়েছে বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা। দেদার অস্ত্রের কারবার করে সে। অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে নানা মামলা রয়েছে।
এ দিন, এই মুজিবরকেই ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু গাড়িতে তোলার আগেই তাকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় এলাকাবাসীদের একাংশ বলে অভিযোগ। গায়ে হাত তোলা হয় পুলিশ আধিকারিকদের বলেও দাবি। ঘটনায় এগারো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours