অভিযুক্তের নাম মজিবুর রহমান। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকায় যায় চোপড়া থানার আই.সি সুরজ থাপা। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় চিরুনী তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।
ঢাল হয়ে দাঁড়াল 'ওরা', মুজিবর রহমানকে পুলিশ ভ্যানে তোলার আগেই ছিনিয়ে নিয়ে গেল
পুলিশের হাত থেকে ছিনতাই দুষ্কৃতী
দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেই দুষ্কৃতীকে খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাকে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলতে গিয়েই যত গণ্ডগোল। ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন গ্রামবাসী। পুলিশের গাড়ি আটকে সেই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেল তারা। যার জেরে ধস্তাধস্তি বেধে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কালকাপুর এলাকার ঘটনা। সেখানে ফের আক্রান্ত উর্দি। এর আগে এই চোপড়াতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? ফের একই ঘটনা ঘটল। পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই দুষ্কৃতী। পরে তার খোঁজ করতে যেতেই আক্রান্ত হতে হয় আধিকারিকদের। তবে যারা দুষ্কৃতীকে পালাতে সাহাস্য করল তারা আদৌ সাধারণ গ্রামবাসী নাকি অভিযুক্তেরই গ্যাং তা জানতে পারা যায়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এগারো জন।
অভিযুক্তের নাম মজিবুর রহমান। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকায় যায় চোপড়া থানার আই.সি সুরজ থাপা। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় চিরুনী তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে,অভিযুক্তের নাম মুজিবর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তের সন্ধান পেতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তুলতেই গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের গাড়ির সামনে রুখে দাঁড়ান বলে অভিযোগ। তারপর তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে বের করে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন গ্রামবাসীদেরই একাংশ বলে অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি।
খবর পেয়ে চোপড়া থানার আইসি সুরোজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য “গোয়ালপোখরের ইস্যুতে এর আগে ডিজি বলেছিলেন আমার পুলিশকে কেউ গুলি করলে আরও চারটে গুলি করে মারব। তারপরও পুলিশের কলার ধরে টানছে। আদৌ কি পুলিশের কোনও ভূমিকা আছে? পার্টি অফিসটাই থানা করে দিক।” চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, “লোকাল কয়েকজন বলেছেন আমায় ও কোনও দুষ্কৃতী ছিল না। আগের বারের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য় ছিল। পুলিশ এসে ঘর ভাঙছে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়েছে। আমি বকাবকি করেছি ওদের। ও যদি নির্দোষ হয় তাহলে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা যেত। মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশ ঘর ভেঙেছে। ওদের কাছে কোনও ওয়ারেন্ট ছিল না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours