বিবাহবার্ষিকী কাটলেও, পার্টি যেন থামছে না। আর এবার টলিউড ক্যুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দারুণ এক প্ল্যান করে ফেলেছিলেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের জন্য। নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানিয়ে, রীতিমতো ভূড়িভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন ঋতুপর্ণা।


ঋতুপর্ণার বাড়িতে হঠাৎ কাঞ্চন, সঙ্গে শ্রীময়ী, তারপর বিরাট কাণ্ড


প্রেম দিবসে ছিল শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিবাহবার্ষিকী। শহরের এক ঝা চকচকে রেস্তরাঁয় বিয়ের প্রথম জন্মদিনে জমজমাট ডিনার পার্টিতে মেতে উঠেছিলেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। বাজি ফাটিয়ে, রোমান্টিক নাচে মত্ত হয়ে, বিয়ের প্রথম জন্মদিন দারুণ কাটিয়েছিলেন টলিউডের এই মিষ্টি দম্পতি। তবে বিবাহবার্ষিকী কাটলেও, পার্টি যেন থামছে না। যেমন, টলিউড ক্যুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সম্প্রতি দারুণ এক প্ল্যান করে ফেলেছিলেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের জন্য। নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানিয়ে, রীতিমতো ভূড়িভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর কাছ থেকে এমন সারপ্রাইজ পেয়ে দারুণ খুশি শ্রীময়ী ও কাঞ্চন।


সেই খুশিই সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন শ্রীময়ী। লিখলেন, ”আমি চলার পথে আমার আঠাশ বছরের যাত্রায় বেশ কিছু মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে, মানুষ চিনেছি ,মানুষ দেখেছি, বিশ্বাস করুন আমি কালকে রাত্রের পর অবাক হয়ে গেছি যে মানুষ এরকমও হয়। আমরা তো জীবনে কিছু করলাম কি করলাম না তার আগেই নিজেদেরকে স্টার ভাবতে ,সুপারস্টার ভাবতে, মেগাস্টার ভাবতে শুরু করে দিই,, মানুষকে অহংকার দেখাতে শুরু করি।”

শ্রীময়ী তাঁর সোশাল মিডিয়ায় আরও লিখলেন, ”বেশিরভাগ মানুষ এখন জাজমেন্টাল হয়ে মানুষকে ছোট করতে শুরু করে, মানুষকে নিয়ে কথা বলতে শুরু করি,, কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মানুষটিকে দেখে এখনো শেখার আছে, আমার সাথে একদিন একটা অনুষ্ঠানে আলাপ হয়েছিল, সেখান থেকে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়, বন্ধুত্ব, হ্যাঁ বন্ধুত্বই বলবো কারণ আমার থেকে বয়সে বড় হলেও, বন্ধুত্বের সম্পর্কের আগে কোন সম্পর্কই হয় না। এবং তারপর উনি আমাদের কালকে আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ট্রিট দিলেন ওনার বাড়িতে,, আমি বুঝতেই পারলাম না যে কিভাবে সময় টা ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেল, কখন রাত দুটো বেজে গেল শুধু আড্ডা মারতে মারতে আমরা বুঝতেই পারলাম না, এবং আড্ডা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছিল না,, কাঞ্চন আর ঋতু দির কথোপকথন শুনে কারণ আমার তো কোন যোগ্যতাই নেই ওনাদের অভিনয় নিয়ে কথা বলার বা ওনাদের শিক্ষা ,ওনাদের অভিজ্ঞতার কাছে আমি একজন নগণ্য,,কিভাবে দুজন শিল্পী নিজেদের কাজ ,ভালো ভালো সিনেমা ,ভালো ভালো সংলাপ, ভালো ভালো ছবির জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কথা বলতে বলতে, নিজেদের অভিনয় করা পুরনো ছবি দেখে স্মৃতিচারণ করে তাদের দুজনের চোখে জল চলে এলো। হয়তো একেই বলে শিল্পী।


ঋতুদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে শ্রীময়ী আরও লেখেন, ” ঋতু দিকে কি বলে আমি সম্বোধন করব সুপারস্টার ,মেগাস্টার ,ব্লকবাস্টার আমি জানি না, যার ঝুলিতে অগণিত ছবি, এবং এখনো একই রকম আমাদেরকে তার অসাধারণ অভিনীত অনবদ্য সিনেমাগুলো একইভাবে উপহার দিয়ে চলেছে। মানুষ যে এত মাটির মানুষ হতে পারে, একজন সুপার ডুপারহিট স্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মত মানুষকে আমি কাছ থেকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না, এত ভালো মনের মানুষ আজও আছেন।। এত সুন্দর মন থেকে , আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদেরকে খাওয়ালেন, আমার ওনার ব্যবহারেই অর্ধেক পেট ভরে গেছে।

তা বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে ডেকে কী কী খাওয়ালেন ঋতুপর্ণা?

শ্রীময়ী জানিয়েছেন, মেনুতে ছিল, লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, বাঁধাকপির তরকারি, চিংড়ি মাছের মালাইকারি ,ভাত, মটন ,দই কাতলা ,কুলের চাটনি, পাটিসাপটা, রসমালাই ,মিষ্টি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours