প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ষষ্ঠবার সাংসদ হওয়া হল না। এই পরাজয় রাজ্যের কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। ইউসুফ পাঠানকে অনেকেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সে সব পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা।

২৫ বছরের অধীর-সাম্রাজ্যের ইতি, 'রবিনহুড' এবার ক্লিন বোল্ড
অধীর চৌধুর
 লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে শেষ পর্যন্ত গড়-রক্ষা হল না। ২৫ বছর পর বহরমপুর কেন্দ্রে পরাজিত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পরপর ৫ বারে সাংসদ ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৯-এর নির্বাচনের পর কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাও হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে লোকসভা কক্ষে তর্ক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বহরমপুরকে অধীরের ‘গড়’ বলেই চিহ্নিত করে থাকে রাজনৈতিক মহল। সেই গড়ই এবার হাতছাড়া! জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটাক ইউসুফ পাঠান।


মঙ্গলবার গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই কার্যত সাপ-লুডোর মতো খেলা চলছিল। কখনও এগিয়ে যান অধীর। কখনও তৃতীয় স্থানে নেমে যান তিনি, দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা। সব রাউন্ড গণনা শেষ হওয়ার পর অধীরের পরাজয় একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ষষ্ঠবার সাংসদ হওয়া হল না। এই পরাজয় রাজ্যের কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। ইউসুফ পাঠানকে অনেকেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সে সব পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। তৃণমূল যেহেতু তারকা প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে, তাই শুরু থেকেই এবার এই আসন নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও অধীরকে বারবার আত্মবিশ্বাসী থাকতেই দেখা গিয়েছে। এই জয় যে ঘাসফুল শিবিরের একটা বড় প্রাপ্তি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইউসুফ পাঠান জানান, শিশুদের জন্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমি বানাবেন তিনি, বন্ধ হওয়া কারখানাও খুলে দেওয়া হবে, প্রচুর মানুষের চাকরি হবে। তিনি বলেন, “এখানকার মানুষ ভালবাসা দিয়েছে। ভাই হয়ে, বন্ধু হয়ে কাজ করব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours