টিমের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েই যায়। আর সেই সম্পর্ক থেকেই রাজেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, 'ওদের দেখে মনে হল আমরা কতটা বিলাসবহুল পরিস্থিতিতে থাকি। অথচ ওদের মতো বিনয়ী মানুষ দেখিনি। এতটা ভালো কী করে হতে পারে।' রাজেশের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণের শুরুটা লেখেন ল্যাঙ্গার।

টিমের থেরাপিস্টের আশিয়ানায় লখনউ সুপার জায়ান্ট কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার

কোটি কোটি টাকার খেলা। খেলা থেকে কোটি কোটি টাকা। তবে সকলের জীবন বিলাসবহুল হয় না। লখনউ সুপার জায়ান্টস কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার যেন সেই বাস্তবটাই দেখলেন। টিমের ফিজিও থেরাপিস্ট রাজেশ চন্দ্রশেখরের আশিয়ানায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের কোচ জাস্টিন ল্য়াঙ্গার। পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটান। বিস্মিত হননি! কী জানি। কৌতুহলী হতেই পারেন।


মুম্বইয়ের ধারাভি এলাকায় এক কামরার ঘরে থাকেন রাজেশ চন্দ্রশেখর। মায়ানগরীর অন্য অংশের সঙ্গে এই এলাকার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তেমনই যেন টুর্নামেন্টের গ্ল্যামারের সঙ্গেও। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ লখনউ সুপার জায়ান্টসের। প্রথম দু-বারই প্লে-অফে উঠেছিল লখনউ। এ বার লিগ পর্বেই বিদায় নিয়েছে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ। সানরাইজার্সের কাছে বিশাল হারের পর নানা বিতর্কও তৈরি হয়। শেষ অবধি সব মিটেও যায়।

টিমের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েই যায়। আর সেই সম্পর্ক থেকেই রাজেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ওদের দেখে মনে হল আমরা কতটা বিলাসবহুল পরিস্থিতিতে থাকি। অথচ ওদের মতো বিনয়ী মানুষ দেখিনি। এতটা ভালো কী করে হতে পারে।’ রাজেশের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণের শুরুটা লেখেন ল্যাঙ্গার।


ল্যাঙ্গারের কথায়, ‘প্রথম বার বলার পর এমনিই ভেবেছিলাম, বলছে ঠিক আছে। পরে ও অনেক বার বলেছে। বারবার বলতো, আমার হেয়ারকাট চাই কিনা। একদিন হঠাৎই চুল কাটার সরঞ্জাম নিয়ে হাজির। সেখান থেকেই ওর জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। এরপর আর মানা করতে পারিনি।’ ল্যাঙ্গারের মাথায় দীর্ঘদিন ধরেই সেই আমন্ত্রণ ঘুরছিল। আরও যোগ করেন, ‘আরসি (রাজেশ চন্দ্রশেখর) আমাকে বলেছিল, মুম্বইয়ে ও একটা বস্তিতেও ছিল। এরপর স্থানীয় একটি ফুটবল টিমে ম্যাসিওরের চাকরি পায়। সেখান থেকেই ওর জীবন পরিবর্তন।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours