জাত-ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়, কংগ্রেস-বিজেপিকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে দুই দলকেই তাদের তারকা প্রচারকদের সতর্ক করে নোটিস দিতে বলা হয়েছে। জাতপাত, ধর্ম,বর্ণ নিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

জাত-ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়, কংগ্রেস-বিজেপিকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
বিজেপি-কংগ্রেসকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন।


লোকসভা নির্বাচনের পাঁচ দফা ভোট হয়ে গিয়েছে, বাকি আর মাত্র দুই দফা। তার মাঝেও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ‘রক্তচক্ষু’ কংগ্রেস-বিজেপিকে। দেশের দুই বড় দলই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল নির্বাচন কমিশনে। তার প্রেক্ষিতেই দুই দলকে সতর্ক করল কমিশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের ভিত্তিতে বিজেপি ও কংগ্রেসকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন জানাল, নির্বাচনের জন্য দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। দুই দলকেই তাদের তারকা প্রচারকদের সতর্ক করে নোটিস দিতে বলা হয়েছে। জাতপাত, ধর্ম,বর্ণ নিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে-উভয়কেই চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক দলগুলি শুধু জেতার জন্য লড়ে না, বরং ভোটারদের কাছে নিজেদের শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রমাণ করার সুযোগ, যার উপরে ভিত্তি করে আশা-ভরসা তৈরি হয়। ভারতীয় নির্বাচনে এই দ্বিতীয় অংশটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রকে দুর্বল হতে দেওয়া উচিত নয়। আপনাদের দলেরও এ কাজ করা উচিত নয়। নির্বাচন আসবে-যাবে, কিন্তু আপনাদের মতো রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ভারতের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করা। বর্তমান ও ভবিষ্যতের নেতা গড়ার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলিরই। তাই নিয়ম-আচরণে এমন কোনও খামতি থাকতে পারে না, বিশেষ করে শীর্ষ নেতাদের আচরণ এমন হতে পারে না।”

কংগ্রেস ও বিজেপি-দুই দলই নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। কমিশনের তরফে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই দলের কাছেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। বুধবার নির্বাচন কমিশন দুই দলের ‘সাফাই’-কেই খারিজ করে দেয় এবং তাদের সতর্ক হতে পরামর্শ দেয়।


একদিকে যেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে কেন্দ্রের শাসক দল হিসাবে বিজেপির প্রচারের পদ্ধতি যেন সংবেদনশীল হয়। আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে কোনও তারকা প্রচারক যেন মন্তব্য না করেন, যা বিভিন্ন শ্রেণি ও গোষ্ঠী বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঘৃণা-বিদ্বেষ তৈরি করে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে পাঠানো চিঠিতেও প্রচারে সংবেদনশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়ে যেন কোনও প্রোপাগান্ডা প্রচার না করা হয় এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে এমন কোনও মন্তব্য না করা হয় যাতে মানুষের মনে এই ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয় যে দেশের সংবিধান অবলুপ্ত বা বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours