আপনি যখন ঘুমোন, মেটাবলিজমের প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। তাই দিনের শুরুতে যখন প্রথম খাবার খান, এটি দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, ব্রেকফাস্ট দেহের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সচল রাখতে, শরীরে কাজ করার এনার্জি জোগাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তার সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্রেকফাস্ট।

কর্ন‌ফ্লেক্স নাকি ওটমিল, ৭ দিনে ওজন কমাতে ব্রেকফাস্টে কী-কী খাবেন?

কঠোর ডায়েট করলেই যে ওজন কমে যাবে, এমন নয়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনি দিনে কতটা পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করছেন এবং কতটা ক্যালোরি বার্ন করছেন, সব কিছুই নির্ভর করছে। আর সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খেলে ওজন কমার পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে। কিন্তু মানুষ প্রথম ভুলটা ব্রেকফাস্টেই করে বসেন। তারপর সারাদিন মেপে মেপে খাবার খাওয়ার পরও মেদ ঝরে না।


আপনি যখন ঘুমোন, মেটাবলিজমের প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। তাই দিনের শুরুতে যখন প্রথম খাবার খান, এটি দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, ব্রেকফাস্ট দেহের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সচল রাখতে, শরীরে কাজ করার এনার্জি জোগাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তার সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্রেকফাস্ট। প্রথমত, ব্রেকফাস্ট স্কিপ করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে সঠিক খাবার।

সিরিয়াল: চটজলদি ব্রেকফাস্ট হিসেবে অনেকেই সিরিয়াল, কর্ন‌ফ্লেক্সকে বেছে নেন। এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে এবং ফাইবার ও প্রোটিন নেই বললেই চলে। এই ধরনের খাবার খেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খিদে পেয়ে যাবে। পাশাপাশি সুগার লেভেল বাড়বে।

পেস্ট্রি: মাফিন, কেকের মতো পেস্ট্রিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। ব্রেকফাস্টে এই ধরনের খাবার খেলে দেহে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাবে।

পাউরুটি: সাদা পাউরুটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এতে ফাইবার নেই। এমনকি কোনও পুষ্টিই নেই। এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি স্যান্ডুইচও খাবেন না।

প্রক্রিয়াজাত মাংস: সসেজ, বেকন ও হ্যামের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস ব্রেকফাস্টে রাখবেন না। এগুলোর মধ্যে ট্যান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরি থাকে। এগুলো খেলে কখনওই ওজন কমাতে পারবেন না।

ব্রেকফাস্টে যেসব খাবার খাবেন:

ডিম: প্রোটিনের ভরপুর উৎস হল ডিম। সকালবেলা ডিম সেদ্ধ খেলে পেট ভর্তি থাকবে দীর্ঘক্ষণ। পাশাপাশি ডিমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে, যা নানা উপায়ে উপকারিতা প্রদান করে।

গ্রিক ইয়োগার্ট‌: গ্রিক ইয়োগার্ট‌ের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণের বেশি। আর চিনি নেই। এতে প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

ওটমিল: লো-ক্যালোরি ও ফাইবারে ভরপুর খাবার ওটমিল। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে ওটমিলের মধ্যে। সিরিয়ালের বদলে ওটস রাখতে পারেন ডায়েটে।

বেরি: বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পাশাপাশি ক্যালোরির পরিমাণ কম। ওটসের সঙ্গে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র‍্যাশবেরির মতো ফল রাখতে পারে।

বাদাম ও বীজ: আমন্ড, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড ও চিয়া সিডের মতো খাবারে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। আর ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। এই ধরনের খাবার ব্রেকফাস্টে রাখলে ওজন কমবে এবং সারাদিন চনমনে থাকতে পারবেন।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours