মহুয়া ইস্যুতে এককাট্টা সিপিএম-তৃণমূল। এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েও যদিও ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস। আক্রমণে নেমেছে বিজেপিও।

কারও মতে কর্মফল, কেউ দেখছেন বিজেপির 'চক্রান্ত', সাংসদহীন কৃষ্ণনগরে চড়ছে রাজনীতির পারদ
কী বলছেন কৃষ্ণনগরের নেতারা

নদিয়া: কেউ বলছেন কর্মফল। কেউ বলছেন বিজেপির চক্রান্ত। কেউ বলছেন আগামীতে মানুষ এর জবাব দেবে। কেউ বলছেন যা হয়েছে বেশ হয়েছে। মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজ হতেই কৃষ্ণনগরে দেখা গেল নানা মুনির নানা মত। রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর চাপানউতোর। তবে এথিক্স কমিটির এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশিই দেখাচ্ছে কৃষ্ণনগরের পদ্ম শিবিরকে। বিজেপির কৃষ্ণনগর নদিয়া জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলছেন, “দেশের সুরক্ষা, সংসদের সুরক্ষা তিনি বিক্রি করেছেন এক ব্যবসায়ীর কাছে। অর্থাৎ এতে দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে। সেই বিষয়টা সামনে আসায় এথিক্স কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক বলেই আমাদের মনে হয়। কৃষ্ণনগরের সাংসদ হয়েও তিনি কোনওদিন কৃষ্ণনগরের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেননি। তাই তাঁর থাকা আর না থাকা সমান।” তবে মহুয়ার মৈত্রের হয়েই ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসীম সাহাকে। বলেন, “এটা অনৈতিক একটা কাজ। তিনি কী দোষ করেছেন, কোথা থেকে ঘুষ নিয়েছেন তার কোনও প্রমাণ নেই।”

তবে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ জগন্নাথ সরকার আবার খানিক খোঁচা দিয়ে বলছেন, “যেমন কাজ করেছেন তেমন ফল ভোগ করছেন। তিনি নিজে অজুহাত তৈরি করেছেন, তিনি সংসদকে অপমান করেছেন। সাংসদদের অপমান করেছেন। এখন তিনি ধান ভাঙতে শিবের গীত গাইছেন।”

অন্যদিকে, মহুয়া ইস্যুতে এককাট্টা সিপিএম-তৃণমূল। এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েও যদিও ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস। বলেন, “উনি নিজের যে কথা সংসদে বলতে চেয়েছিলেন সেটা বলার সুযোগ ওনাকে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, স্পিকার ওনার কথা না শুনেই সাংসদ পদ খারিজ করেছে। এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদকে প্রকাশ্যে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখন বিজেপিতেও রয়েছেন। তখন তৎকালীন স্পিকার একবার এথিক্স কমিটি ডাকবার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেননি।”

ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সম্পাদক। সাফ বলছেন, মানুষ এর জবাব দেবে। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “স্পিকার নির্বাচিত হয়েছে বিজেপির দ্বারা। আজ একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ওনাকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে দেয়নি বিজেপি। আর এথিক্স কমিটির সাতজন সদস্যের মধ্যে চারজনই তো বিজেপির। এটা বিজেপির চক্রান্ত। আগামীদিনে কৃষ্ণনগরের মানুষ এর জবাব দেবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours