শান্তিনিকেতনের রতনপল্লি থেকে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী পর্যন্ত একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। মিছিলে অংশ নেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলররা। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের এই জমি সংক্রান্ত বিবাদে শুরু থেকেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Amartya Sen: অমর্ত্য সেনকে 'অসম্মানের' প্রতিবাদে শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের মশাল মিছিলবীরভূমে তৃণমূলের মশাল মিছিল
বোলপুর: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার মশাল মিছিল শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। শান্তিনিকেতনের রতনপল্লি থেকে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী পর্যন্ত একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। মিছিলে অংশ নেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলররা। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের এই জমি সংক্রান্ত বিবাদে শুরু থেকেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। নোবেলজয়ীর হাতে জমির ‘আসল নথি’ তুলে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু জমি সংক্রান্ত ওই বিতর্ক থামেনি। বিতর্ক মূলত ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে। বিশ্বভারতীর দাবি, ওই ১৩ ডেসিমেল জমি জোর করে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এবার অমর্ত্য সেনকে ‘অসম্মানের’ প্রতিবাদে সোমবার শান্তিনিকেতনে মশাল হাতে মিছিল করল রাজ্যের শাসক শিবির।


বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যানার নিয়ে মিছিলে পা মেলান তৃণমূল কাউন্সিলর ও কর্মী-সদস্যরা। ব্যানারে লেখা, ‘বিশ্ববন্দিত ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনের উপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অসম্মান ও বলপ্রয়োগ আস্ফালনের তীব্র বিরোধিতা জানাই।’ উল্লেখ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সম্প্রতি নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী। বিতর্কিত ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। বলা হয়েছে, ৬ মে-র মধ্যে ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রতীচীর সামনে নোটিসও সাঁটিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এমন আচারণের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন শতাধিক বিশিষ্টজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সম্প্রতি আরও একবার সরব হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। নবান্ন থেকে সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে নোবেলজয়ীর জমি বিতর্ক সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওরা নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে। ওরা যদি অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে আসে, আমি গিয়ে সেখানে বসে থাকব।’ আর এরই মধ্যে তৃণমূলের তরফে এই মশাল মিছিল শান্তিনিকেতনে।


যদিও এই মশাল মিছিলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি শিবির। বিজেপির বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল যে মশালে আগুন লাগিয়ে এখান থেকে বেরিয়েছেন, সেই আগুনটা নেভানোর জন্য তৃণমূলের কাউন্সিলর সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এদিকে ওদিকে মশাল নিয়ে সেই আগুনটা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। অমর্ত্য সেনের বাড়িটা আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেটা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল করা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours