পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে, ভারি কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ।


জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চ-মাধ্যমিক শুরু হত আর পাঁচদিন পরই। কিন্তু তার আগেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ছাত্রীর দেহ। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর শরীরে প্রচুর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। বাড়ির লোকজন বলছেন খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে। তিনি স্থানীয় হাইস্কুলে উচ্চ-মাধ্যমিকে পাঠরত ছিলেন। তাঁর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাবা ও মাকে আটক করেছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে, ভারি কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই কিশোরী এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিত। তাঁর বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। গত দু’দিন আগেই তিনি ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর ভাইও পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গিয়েছে, দোলের দিন রাতের বেলা মাংস নিয়ে এসে বাবা তাঁর মেয়েকে ডাকলেও সারা পাননি ৷ ঘুমচ্ছেন ভেবে বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আজ সকালেও তাঁর কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা ভেতরে গিয়ে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। বিষয়টি নজর আসতে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুশমণ্ডি থানার আইসি তপন পাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে না হওয়ায় তা মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের মুখ সহ গোটা শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশাপাশি মুখের বেশির ভাগ অংশ থ্যাতলানো অবস্থায় ছিল। যা থেকে পরিষ্কার তাঁকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারি কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এ দিকে পুরো বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য মৃতের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দেওয়া হয়।


যদিও মৃতার বাবা ও মায়ের অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাতে ওই যুবক এসে তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। ছেলেটির সঙ্গে সারাক্ষণ ফোনে কথা বলত তাঁর মেয়ে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সেই জায়গা থেকে অনুমান ওই ছেলেই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান,”এক ছাত্রীর মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত এগলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours