ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার হতাশা অবশ্য কমল না। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বারবার অস্বস্তিতে দেখিয়েছে। ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে বড় রানের চাপ ছিল না। ক্রিজে সময় কাটিয়ে ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে পারতেন। ফর্মে ফেরারও সুযোগ ছিল। কিন্তু রানের খাতাই খুলতে পারলেন না।



বোর্ডে মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য। মনে হয়েছিল দ্রুতই জয় ছিনিয়ে নেবে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করে সেই ইঙ্গিতই দেন সোফি ডিভাইন। কিন্তু ওভারের শেষ বলে স্লগ সুইপে আরও একটা বাউন্ডারির খোঁজে ক্য়াচে ফিরলেন সোফি। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাও আউট। কিছুক্ষণের জন্য় চাপের পরিস্থিতিতে পড়ে আরসিবি। আরও একটা হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে না তো! এলিস পেরি-হেদার নাইটের অভিজ্ঞ জুটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। পাওয়ার প্লে-এর পর পেরি ফিরতেই ফের চাপ বাড়ে আরসিবির। চমক দেন কনিকা আহুজা। একের পর এক বাউন্ডারিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। বোলিংয়ে পেরি, ব্যাটিংয়ে কনিকা। রিচার সঙ্গে তাঁর জুটি ৫০ পেরোতেই স্বস্তি আরসিবি শিবিরে। কনিকা অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। তিনি আউট হতেই দায়িত্ব নেন রিচা ঘোষ। ইউপি ওয়ারিয়র্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্যাচ রিপোর্ট 


টিকে থাকতে হলে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের কাছে একটাই বিকল্প ছিল, জয়। টুর্নামেন্টে প্রথম পাঁচ ম্য়াচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বাধীন আরসিবি। আর একটা হার মানেই দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়া। ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্য়াচে হতাশার ফল হয়েছিল। ১০ উইকেটে জিতেছিল ইউপি। ফিরতি ম্য়াচে শুধু বদলাই নয়, বদলও দরকার ছিল আরসিবির। সেই বদলটা যেন শুরু হল টস থেকেই। বোলিংয়ে পেরি, ব্যাটিংয়ে কনিকা-রিচা জুটি। ৫ উইকেটের জয় আরসিবির। কনিকা ৪৬ রানে ফেরেন। রিচা অপরাজিত ৩১ রানে।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। মরণ কামড় দিতে তৈরি ছিল আরসিবি। প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুভ মহরত সোফি ডিভাইনের। পরের ওভারেই তাহিলা ম্য়াকগ্রার মূল্যবান উইকেট মেগান শুটের। মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইউপি ওয়ারিয়র্স। অবশেষে ষষ্ঠ উইকেটে দীপ্তি শর্মা, গ্রেস হ্য়ারিস জুটি ইউপি ওয়ারিয়র্সকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। মাত্র ৪২ বলে ৬৯ রান যোগ করে এই জুটি। শেষ দিকে সোফি এক্লেস্টন-অঞ্জলি সর্বানী ১২ বলে ২১ রান যোগ করেন। কিন্তু ২০ ওভারও ব্য়াট করতে পারেনি ইউপি ওয়ারিয়র্স। ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট ওয়ারিয়র্স। আরসিবির অলরাউন্ডার এলিস পেরি ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সোফি ডিভাইন এবং লেগ স্পিনার আশা শোভানা দুটি করে উইকেট নেন।


ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার হতাশা অবশ্য কমল না। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বারবার অস্বস্তিতে দেখিয়েছে। ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে বড় রানের চাপ ছিল না। ক্রিজে সময় কাটিয়ে ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে পারতেন। ফর্মে ফেরারও সুযোগ ছিল। কিন্তু রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং আক্রমণে ইউপি ওয়ারিয়র্স সহ অধিনায়ক দীপ্তি শর্মা। তিন বলে খালি হাতেই ফেরেন ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours