বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের অদূরেই রয়েছে সরকারি একটি হোম। সূত্রের খবর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর সমাজ কল্যাণ দফতরের অধীনে থাকা এই হোমে পশ্চিম বর্ধমান থেকে রাহুল বাউরী ও তাঁর এক ভাইকে আবাসিক হিসাবে পাঠানো হয়। তারপর থেকে ওই দুই ভাই হোমেই ছিল।


সরকারি হোমে এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু। যার কারণে জোর চাঞ্চল্য। মৃত কিশোরের নাম রাহুল বাউরী। রবিবার বিকালে হোমের বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে হোম কর্তৃপক্ষ।




বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের অদূরেই রয়েছে সরকারি একটি হোম। সূত্রের খবর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর সমাজ কল্যাণ দফতরের অধীনে থাকা এই হোমে পশ্চিম বর্ধমান থেকে রাহুল বাউরী ও তাঁর এক ভাইকে আবাসিক হিসাবে পাঠানো হয়। তারপর থেকে ওই দুই ভাই হোমেই ছিল।

নিয়ম অনুযায়ী হোমের অন্যান্য আবাসিকদের মতোই রাহুল পড়ত পার্শ্ববর্তী মড়ার সম্মিলনী হাইস্কুলে। স্কুলসূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণিতে পড়া রাহুল ছিল অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল। হোমের নিরাপত্তারক্ষীদের তত্বাবধানে ওই হোমের অন্যান্য আবাসিকদের সঙ্গেও রাহুলও নিয়মিত স্কুলে আসত। রবিবার স্কুল ছুটি থাকায় হোমেই ছিল সে।

জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা তিনটা নাগাদ হোমের বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ বুঝতে পেরে হোমের কর্মীরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তখন সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজে ব্যবহৃত কাপড়ের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাথরুমের এক্সহস্ট ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন রাহুলকে।

এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হোমের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আজ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত করানো হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এটেছে হোম কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক আধিকারিকরাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। হোমের তরফে রাহুলের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়নি তার স্কুল মড়ার সম্মিলনী হাইস্কুলকেও। ঘটনার কথা শুনে হতবাক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও রাহুলের অন্যান্য সহপাঠীরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours