সরকারি শর্ত না মানলে আইনি ব্যবস্থা, কাঁথির সভা থেকে আবাস যোজনার ১৭ দফা শর্ত প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন শুভেন্দু।


১২ গিয়েছে, গিয়েছে ১৪। রাত পোহালেই ২১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ, রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বরের শেষ ‘ডেডলাইন’। রাজনৈতিক মহলে ফের ‘কী হয়, কী হয়’ রব। এরইমধ্যে এবার আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, একুশে ডিসেম্বর আবার কাঁথিতে সভা রয়েছে শুভেন্দুর। এই সভা থেকেই আবাস যোজনার ঘর পেতে ১৭ দফা সরকারি শর্তের কথা প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন তিনি। একইসঙ্গে আবাস যোজনায় (Awas Yojona) ঘর বণ্টনে অস্বচ্ছতার জন্য দুষেছেন জেলাশাসকদের। শুভেন্দুর কাঠগড়ায় পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদার জেলাশাসক।

এদিন শুভেন্দু বলেন, “৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে নামের তালিকা করতে বলা হয়েছে তাতে ১৭ দফা তালিকা রয়েছে। এখানকার বিভিন্ন জেলাশাসক মাথায় ছাদ না থাকলে বাড়ি দিয়ে দিচ্ছে। আবাস যোজনার ১৭ দফা শর্ত প্রকাশ্যে আনতে চলেছি। এটা না মানলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা ফেরত দিতে হতে পারে। প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।” প্রসঙ্গত, যোগ্য প্রাপকদের খুঁজে বের করতে বর্তমানে রাজ্যে রাজ্যে সার্ভে চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। এই কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই বাধার মুখে পড়েছেন আশা কর্মীরা। সরকারি আধিকারিকদের মারধরের অভিযোগও উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিস্তর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। 


এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও মালদার জেলাশাসকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “এরা বলেছেন মাথায় ছাদ না থাকলে ঘর দিয়ে দাও। বাকি ১৫ দফা দেখার দরকার নেই। আমি কালকে পাবলিক ডোমেনে ১৭ দফা পড়ে দেব। যার ফলে গোটা পশ্চিমবাংলার মানুষ জাগ্রত হবে। আমি সকলকে বলব ১৭ দফা না মেনে যদিও একটা ঘর দেওয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান। নাম বাদ দেওয়া হবে। আমাদের মন্ত্রী কথা দিয়েছেন। টাকা ফেরত করাবে ভারত সরকার। ৬০ শতাংশ টাকা ভারত সরকার তাঁর কাছ থেকে ফেরত করাবে। প্রয়োজন হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours