বনগাঁয় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে রাজ চক্রবর্তী বলেন, 'লতা, সচিনকে যেমন নির্দিষ্ট কাজের জন্য পাঠানো হয়েছে। তেমনই মমতাকে ভগবান পাঠিয়েছে মানুষের কাজ করার জন্য। মমতাই একমাত্র নেত্রী যিনি শুধুমাত্র মানুষের জন্য কাজ করেন। তাই চেষ্টা করেও তাঁকে কালিমালিপ্ত করা যায় না', বলে মন্তব্য রাজের। একই অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের। তবে তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই, তোপ বাম-বিজেপির। বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হা (BJP Rahul Sinha) বলেন, 'এসব চাটুকারিতা করে মনীষীদেরই অপমান করা হচ্ছে।' সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ( Sujan Chakraborty) বলেন, 'রাজ্যের এই দুরবস্থায় হাসির উপাদান জোগাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।' পাশাপাশি 'গোটা তৃণমূল দলই দুর্নীতিগ্রস্ত', বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিজেপির।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে একাধিক ইস্যুতে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। একদিকে গরুপাচার মামলা থেকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বিধ্বংস্ত বাংলা। তারপরে গত কয়েকদিনে টেট আন্দোলনের ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। করুণাময়ীতে জোর করে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন ভেঙে দিতেই সরব হয় বিরোধীরা। উল্লেখ্য, রাত বাড়তেই তেতে উঠছিল পরিস্থিতি । একদিকে আন্দোলনের ঝাঁঝ যেমন বাড়াচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তেমনই জমায়েত তুলতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছিল পুলিশও । শেষমেশ মধ্যরাতে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। রাত পেরোতেই ফের করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে SFI-DYFI এর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়ায়।

আরও পড়ুন, দীপাবলির আগে ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু কলকাতায়, প্রাণ হারালেন বছর ২৪-র যুবক


'আমরা কি চোর?', 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার মাঝে রাতের অন্ধকারে পুলিশ কেন তুলে দিল?'-র মতো প্রশ্নের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্বেও কীভাবে রাতের অন্ধকারে মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের এভাবে জোর করে তুলে দেওয়া হয়, সেই প্রশ্নও তুললেন আন্দোলনকারীরা। রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ব্যঙ্গের সুরে কেউ কেউ বললেন, 'আমাদের ন্যায্য চাকরি ঘুষের টাকায় বিক্রি করে দিয়ে পুলিশ দিয়ে জোর করে মধ্যরাতে তুলে দিচ্ছে আমাদের।'এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পর টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিশেষ কিছু না বললেও, ইঙ্গিতপূর্ণ একটি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি বললাম না, আমি এসব নিয়ে কিছু বলব না। আমি বললাম, যা বলার ব্রাত্য বলবে। কারণ, আমি তো জানি না ডিটেলস্।' 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours