টাকার বিনিময়ে (money) চাকরি বিক্রির (recruitment scam) অভিযোগে ফের নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার (TMC Leader)। ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন তিনি, অভিযোগ এমনই। প্রাথমিক শিক্ষকের (primary teacher) চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৮ লক্ষ (8 Lakhs) টাকা 'আত্মসাৎ'। স্বরূপনগরে (north 24 parganas) ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। থানায় যাওয়ার কথা বললে মাদক আইনে (NDPS ACT) ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শেষ নয়। স্বরূপনগর থানা থেকে ‘প্রত্যাখ্যান’, আদালতের মাধ্যমে এফআইআর অভিযোগকারীর। 
গাইঘাটার বাসিন্দা, ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থী ইসমাইল মণ্ডলের অভিযোগ, গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশারাফ মোল্লা প্রাথমিকে শিক্ষক পদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে ৮ লক্ষ নিয়েছিলেন। অভিযোগকারীর শ্বশুরবাড়ি স্বরূপনগরের পূর্ব পোলতা গ্রামে। শ্বশুরের মাধ্যমেই উপপ্রধানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল, জানান অভিযোগকারী। ইসমাইলের বক্তব্য, আশারাফ তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে এই ঘটনা ঘটে, জানিয়েছেন অভিযোগকারী। সঙ্গে দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল ২০২১ সালেই তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। এও বলা হয়েছিল যে গাইঘাটার সুবীরপুরের আশপাশেই কোনও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁকে নিয়োগ করা হবে। প্রতিশ্রুতি পেয়ে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ইসমাইল মণ্ডল ৮ লক্ষ টাকা অভিযুক্তের হাতে তুলে দেন, দাবি এমনই। তার পর বেশ কয়েক মাস একই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল অভিযোগকারীকে। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় উপপ্রধানের সঙ্গে সত্ত্বর যোগাযোগ করেন ইসমাইল। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ফোন ধরেননি। পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ প্রথমে কোনও অভিযোগ নেয়নি, আরও জানান অভিযোগকারী। এতেই শেষ নয়। আরও অভিযোগ, টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযোগকারীর শ্বশুরের উপরও হামলা চলেছে। তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে গ্রামের সালিশি সভায় হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। উল্লেখ্য, করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ইসমাইল।

কী বলছেন অভিযুক্ত?
 কিন্তু যাঁকে ঘিরে অভিযোগ, তিনি কী বলছেন? এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি তাঁর বাড়ি পৌঁছলে স্ত্রী জানান তিনি বাড়িতে নেই। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তের পত্নী। বরং তাঁর পাল্টা দাবি, ‘জমি সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।‘ সালিশি সভা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডলের। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আশারাফ মোল্লাকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও থানার বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ না নেওয়ার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে পুলিশ। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours