ইন্ডাস্ট্রির লিঙ্গ বৈষম্য নিয়েও কথা বলেন রবীনা। যখন তিনি অভিনয় করতেন তখন নায়িকারা শুধু নায়কের সঙ্গে রোম্যান্স করার জন্য থাকতেন।

রবীনা ট্যান্ডনের বাবা পরিচালক-প্রযোজক রবি ট্যান্ডন ইন্ডাস্ট্রির মানুষ। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি কী রকম ব্যবহার করেছে সেই মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি রবিনা তাঁর ৪৮তম জন্মদিন পালন করেন। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ৩০ বছর হলে গেল প্রায়। কিন্তু যখন শুরু করেছিলেন, কী ভাবে তাঁকে কবর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, প্রত্যাখান করা হয় তাঁকে সেই কথা স্মরণ করেছেন। তবে তা সত্ত্বেও তিনি বারবার ফিরে এসেছেন লড়াই করে। সেটা অবশ্যই খুব একটা সহজ ছিল না। তাঁর মতে, এখানে সত্যিকারের প্রতিভান ব্যক্তি নিজের কাজ দেখানোর সুযোগ পান না। বিশেষ করে অভিনেত্রীরা। তিনি আরও যোগ করেন, “এত দিন ধরে ইন্ডাস্ট্রির নোংরা রাজনীতি দেখেছি। দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনে কত মানুষকে লড়াই করতে দেখলাম। কেউ ঠিক গেলেন, কেউ ভেসে। কেউ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলেন”।

রবীনা বহু হিট ছবির নায়িকা। যার মধ্যে মোহরা, খিলাড়িও কা খিলাড়ি ছবি অন্যতম। ইন্ডাস্ট্রির লিঙ্গ বৈষম্য নিয়েও কথা বলেন রবীনা। যখন তিনি অভিনয় করতেন তখন নায়িকারা শুধু নায়কের সঙ্গে রোম্যান্স করার জন্য থাকতেন। নারী কেন্দ্রীক ছবি হতোই না প্রায়। তবে এখন ইন্ডাস্ট্রির মানুষের ধারণা বদলেছে। এখন ভাল ভাল কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে নারী কেন্দ্রীক ছবি হচ্ছে।

কেজিএফ ২ ছবি হোক কিংবা আরণ্যক-নানা ধরনের ছবিতে এখন দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর মতে, “আমি কেরিয়ারে এই সময় এসে আর টাইপকাস্ট হতে চাই না। তাই আরণ্যকের রামিকা সেন বা কেজিএফ ২-এর কস্তুরি ডোগরার মতো এক ধরনের চরিত্রে নয়, নিজেকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখতে চাই। আমি আমার বহুমুখী চরিত্রের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাই। এখন দেখার ভাগ্য আমার জন্য কী ঠিক করে রেখেছে”।




Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours