গরমের মরশুমেই উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রার (Char Dham Yatra) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। আগামী ৩ মে থেকে বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যুমনোত্রীর পবিত্র ও হিন্দু মন্দিরগুলির বার্ষিক তীর্থযাত্রা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৬ মে থেকে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এবছর কেদারনাথ যাত্রার জন্য যে পূণ্যার্থীরা পরিকল্পনা করেছেন তাঁদের জন্য রয়েছে সুখবর। কারণ কেদারনাথ মন্দিরের যাওয়ার জন্য অনলাইনে হেলিকপ্টার পরিষেবার (Helicopter Service) জন্য বুক করা যাচ্ছে।

আগামী ৪ এপ্রিল থেকে অনলাইন বুকিং চালু করেছে গাড়ওয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম । আগামী ৩ মে থেকে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর মন্জিরগুলির দরজা সাধারণ ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বার্ষিক যাত্রার জন্য ৪ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজাও।

চারধাম যাত্রার মধ্যে কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা সবচেয়ে দুর্গম। উত্তরাখণ্ডের উঁচু স্থানে অবস্থিত একটি গুহায় অবস্থিত। বহু তীর্থযাত্রীর পক্ষেই পায়ে হেঁটে যাত্রা করা সম্ভব নয়। এই যাত্রায় সামিল হোন বহু প্রবীণরাও। তবুও শরীরের জন্য এই যাত্রা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। অনেক মাঝপথে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে, অনেকে যাত্রাপথ পূরণ করতে পারেন না। এর কারণ হলে কেদারনাথ মন্দিরে যাওরা পথটি অত্যন্ত কঠিন। এমন পরিস্থিতির কথা ভেবে উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি প্রতি বছর শিবের অন্যতম পবিত্র মন্দিরের যাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীদের জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবার আয়োজন করেছে।

কেদারনাথ যাত্রার জন্য যাঁরা পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা আগাম চপার অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। গারহাওয়াল মন্ডল বিকাশ নিগম (GMVN), heliservices.uk.gov.in-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সার্চ করে হেলিকপ্টার যাত্রার আগে থেকেই বুক করতে পারেন। রয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। 0135-2746817 বা 0135-2431793-এর মাধ্যমেও বুকিং করা যেতে পারে।

জানা গিয়েছে, গুপ্তকাশী, সিরসি এবং ফাটা থেকে হেলি রাইড পরিচালনা করা হবে। গুপ্তকাশী থেকে কেদারনাথের ভাড়া ৭,৭৫০ টাকা। যেখানে সিরসি এবং ফাটা থেকে মন্দিরের ভাড়া মাত্র ৪৭২০টাকা ও ৪৬৮০ টাকা। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় কেদারনাথ মন্দিরটি অবস্থিত। গাড়ওয়াল হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৮৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। চারধাম যাত্রার সময় প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্ত মন্দিরে ভিড় করেন। তবে তীব্র ঠান্ডা ও তুষারপাতের কারণে প্রতি বছর ভাইফোঁটার আগেই মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours