কলমি শাক জলে জন্মে এবং জলেই বেড়ে ওঠে। দামে কম হলেও এই শাকের উপকারিতা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এই শাক তুলনামূলক কম খাওয়া হলেও গুণাগুণ কিন্তু অসামান্য।

কলমি শাক আঁশজাতীয়। এতে খাদ্য উপাদান রয়েছে প্রচুর। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে রয়েছে কার্যকর ভূমিকা।

ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয় কলমি শাক। কলমি শাকের আরও কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক:

হাঁড় শক্ত করে কলমি শাক

কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাঁড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না।

হজম সহায়ক

কলমি শাক মূলত আঁশজাতীয়। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমি শাক বিশেষ উপকারী।

রক্তশূন্যতায়

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১০০ গ্রাম কলমি শাকে রয়েছে

প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম।

চোখ ভালো রাখে

কলমিশাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।

রোগ প্রতিরোধক

কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি'। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য তাই কলমি শাক খাওয়ানো হয়।bs

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours