একটি নয়, দু-দুটি পত্নীর স্বামী তিনি। তাই দায়-দায়িত্বও অনেক। কিন্তু তাই বলে এরকম! সপ্তাহে তিনদিন অর্থাত্‍ সোম, মঙ্গল, এবং বুধবার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তিনি। বাকি আর তিনটে দিন বৃহস্পতি, শুক্র, এবং শনিবার তিনি সময় কাটান দ্বিতীয় স্ত্রীর ডেরায়।বাকি থাকল আরও একটি দিন অর্থাত্‍ রবিবার। সেই দিনটি অবশ্য তিনি তাঁর সন্তান এবং পিতামাতার জন্য তুলে তুলে রেখেছেন একেবারে নিয়ম করে (Viral News)।

সম্প্রতি এমন এক আজব স্বামীর নিয়ম পালনের ঘটনা সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে। স্বভাবতই এমন আজব নিয়মের কাণ্ড দেখে তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির সাক্ষী হতে কাউকে বিদেশে পাড়ি দিতে হবে না, উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) রাজ্যে ঢুঁ মারলেই যে কেউ এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখে নিতে পারবেন এক নিমেষে।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার ধোকপুরি তান্ডা এলাকার। জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভালই দিন কাটাচ্ছিলেন। সংসারজীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্কে চির ধরেনি এতটুকু। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরে পরকীয়ার হাত ধরে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অসমের এক যুবতীর প্রেমে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে লুকিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে লিভ-ইন করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি।

এরই মাঝে ওই যুবতী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে প্রেমিকার চোখে ধুলো দিয়ে ফের নিজের বাড়ি উত্তর প্রদেশ চলে আসেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু লুকিয়ে পালিয়ে এসে রেহাই মেলেনি। কারণ গর্ভবতী প্রেমিকা শেষ পর্যন্ত তাঁর সন্তানের পিতাকে খুঁজতে দ্বারস্থ হন পুলিশের। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে আসা প্রেমিককে খুঁজে পান ওই যুবতী। এরপর ওই ব্যক্তির কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যায় তাঁর পরিবার-সহ গোটা গ্রামে।

জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত স্বামীকে বাঁচাতে ওই যুবতীকে বিয়ে করার সম্মতি দেন ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী। পাশাপাশি বাবাকে বাঁচাতে ওই বিয়েতে সম্মতি দেয় তাঁর দুই সন্তানও। শেষপর্যন্ত স্ত্রী ও সন্তানদের সম্মতি নিয়ে ওই যুবতীকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু শর্ত একটাই, তা হল প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তিনি কাটাবেন সপ্তাহের প্রথম তিনদিন, আর বাকি তিনদিন তিনি থাকবেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে। এই শর্তে আপাতত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই মেলে ওই ব্যক্তির।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours